রামপাল(বাগেরহাট)
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে কৃষকের ঘের ও ফসলি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রামপালের চাদপুর গ্রামে বিএনপির নামধারী এক নেতা ক্ষমতার পালাবদলের পরেই ঘের ও আবাদি জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার চেষ্টা। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১ সময় সরকারি খালের উপর বাঁধ নির্মাণের পায়তারা চালাচ্ছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ভুমি দখল ও জলদস্যু ইসমাইল মিলে ৩/৪ সংবদ্ধ হয়ে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করছে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমার নিজ জমির উপর বাধ নির্মাণ করছি, এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন একজন নিরীহ ব্যক্তিকে মারতে ছুটে আসেন ভূমিদস্যুরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা গেলে জান ও মালের ক্ষতির হুমকি দেন। এ ঘটনায় জমির মালিক ভূক্তভোগী ক্রয়কৃত জমির সঙ্গে কেন্দ্র করে চাদপুর গ্রামের আঃ রশিদ শেখের পুত্র মোঃ আছাদুর রহমান তার ক্রয়কৃত জমির পাশ দিয়ে দাকোপা নদী বহমান হওয়ায় নিজ সীমানা প্রাচীর ছেড়ে দিয়ে নদীর জলাবদ্ধতা নিরাশনের জন্য খালের জাল পাটা উম্মুক্ত করেছেন। জোর পূর্বক জমি দখলদার নামধারী বিএনপির নেতা ভুমি দখল ও জলদস্যু ইসমাইল দলের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অমান্য করে বিভিন্ন সময় বল প্রয়োগ করে খালে জাল পাটাসহ বাঁধ নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে এতে ভারী বৃষ্টি আর বন্যার পানিতে গ্রাম অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর মৌজার বিআরএস ৭১৫, ৪৩০, ও ২০০ খতিয়ানের দাগনং-১৫৭০,১৫৭১,১৫৭২,১৫৭৩১৫৭৮,১৫৭৯,১৫৮০,১৫৮১,১৫৮২। ১.২৭ একর এর মধ্যে ক্রয়কৃত ১.০৮ একর এবং আপোষ বন্টক আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারি করেন। ভুক্তভোগী আছাদুর রহমান তার নিজ জমির উপর দিয়ে খালের জায়গা দিয়েছেন । ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী আছাদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিককে জানান ১৫৭৮ ২ দাগের ১১.১৮ ও ১৭ শতাংশ মোট ২৮.১৮ শতক জমি ভোগ দখলে করে আসছি আমি কোথাও কোনো সরকারি জমি খাচ্ছি না। তিনি অভিযোগ করে বলেন অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রামপাল উপজেলা ভূমি নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে খালের ভিতরে পাটা দিয়ে ঘের করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন । ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আফতাব আহমেদ এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি আমি কাউকে সরকারি খালে পাটা দিয়ে ঘের করার জন্য অনুমতি দেয়নি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দুই পক্ষকে বলে বর্ষা মৌসুমে সরকারি খালের পানি ও জলাবদ্ধতা যাতে সৃষ্টি না হয় তার নির্দেশ দিয়েছি।শুকনো মৌসুমে দুই পক্ষের কাগজপত্র যাচাই শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।