অন্যান্য

রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া-বালু, কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

  প্রতিনিধি 15 November 2024 , 6:45:01 প্রিন্ট সংস্করণ

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু,

 

কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় দেড় কোটি টাকার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মানসম্মত ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করতে বলা হলেও ঠিকাদারের লোকজন তা মানছেন না বলে দাবি স্থানীয়দের। পরে বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছেন ঠিকাদার।

 

২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউজিআইপি) আওতায় একটি প্যাকেজে ৩টি রাস্তা ও একটি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ব্যয় ধরা হয় সাত কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে উলিপুর হাসপাতাল মোড় থেকে বটেরতল জোনাইডাঙ্গা পর্যন্ত ৯৪২ মিটার রাস্তা নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

 

খুলনার মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড সন্স কার্যাদেশ পায়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। কাজটি মোস্তফা অ্যান্ড সন্সের কাছ থেকে স্থানীয় ঠিকাদার শাহাদত কিনে নেন। কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ২৮ নভেম্বর। সরকার পরিবর্তনের পর তাড়াহুড়া করে রাস্তার কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন। এরপর দীর্ঘদিন রাস্তার কাজ না করে ফেলে রাখেন ঠিকাদার।

 

মুক্তিযোদ্ধা ফজল উদ্দিনসহ অনেকের অভিযোগ, ঠিকাদার রাতের আঁধারে ট্রাক্টর দিয়ে ভাটার নষ্ট ইটের খোয়া ও নিম্নমানের বালু এনে রাস্তার কাজ শুরু করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দিলে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যান।

 

রাস্তা নির্মাণের সময় ১০ ইঞ্চি গর্ত করে বালু খোয়া ফেলে সমান করার কথা। সেখানে ৬ ইঞ্চি গর্ত করা হয়েছে। এক নম্বর ইটের খোয়ার পরিবর্তে নষ্ট ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। হাত দিলেই সেই খোয়া ভেঙে যাচ্ছে। বালুর মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নিষেধ করলেও ঠিকাদার মানছেন না। এভাবে কাজ করলে এ রাস্তা কয়েক মাসও টিকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

শিক্ষার্থী রায়হান শাওন জানায়, ঠিকাদারের সঙ্গে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলীর সখ্য রয়েছে। তারা মিলেমিশে সব কাজ করেন। এ কারণে মান নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

 

একই ঠিকাদার দুই কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নাজমা হাউস থেকে বাংলা লিংক টাওয়ার পর্যন্ত ৬৭৫ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ করছেন। এখানেও কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের পাথর ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

 

অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে সাব-ঠিকাদার মোঃ শাহাদত হোসেনের সঙ্গে দেখা করা হয়। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

 

ঠিকাদার মোস্তফা অ্যান্ড সন্সের মালিক মোঃ শহীদুল হক বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি তিনিও জেনেছেন। সাব-ঠিকাদার কাজে ভুল করে থাকলে তাকেই ঠিক করে দিতে হবে।

 

এ বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহীনুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘অভিযোগটি শতভাগ মিথ্যা। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবে না। আমি এখানে চাকরি করতে এসেছি, ব্যবসা নয়।’

 

উলিপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি জানার পর কার্যাদেশ মেনে ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও ঠিকমতো কাজ না করলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Author

আরও খবর

খালেদা জিয়া ‘অনেকটা বেটার’ আছেন: বিএনপি মহাসচিব

নোয়াখালীতে মুঠোফোন চুরিকালে মুছনী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা আটক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন জাকারিয়া আল ফয়সাল, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। জেলার ১১ টি কলেজ থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উপাচার্যের এ সকল সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অধিভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সুফল পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি-ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, আসরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল বাসার, তোতা মোল্লা, নাজমুল হক, এনামুল হক, রাকসানা খাতুন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

শেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলে বড় ধাক্কা

“মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু” শত বছরে বহুবার এই বদ্বীপেও বিপ্লবী তরুনদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে রাজ দরবার। 

কালীগঞ্জ পৌরসভা পরিস্কার পরিছন্নতার কাজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা ও বিডি ক্লিন বাংলাদেশ

                   

জনপ্রিয় সংবাদ