অন্যান্য

রাস্তা বন্ধ করে কলেজের সীমানাপ্রাচীর, প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান 

  প্রতিনিধি 24 November 2024 , 3:19:34 প্রিন্ট সংস্করণ

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু

 

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩০ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কলেজের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে একটি গ্রামের কয়েকটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। উপজেলার রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজপাড়া এলাকার অবরুদ্ধ পরিবারগুলো।

 

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রৌমারী উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কে এ মানববন্ধন পালন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের নারী-পুরুষ, শিশু ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাবিবুল হাসান, আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, হুমায়ুন কবির ও আফরুজা বেগম প্রমুখ।

 

রাস্তা বন্ধে নিজেদের দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন কলেজপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর ও ফটক নির্মাণের নামে কলেজ কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিবারগুলোর কয়েকশ সদস্যের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অবিলম্বে যাতায়াতের রাস্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।

 

স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুল হাসান ও আনোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা বন্ধ থাকায় ওই গ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং প্রতিবন্ধীদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এটা আমাদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। রাস্তার অভাবে গ্রামের অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারে নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের এতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। আমাদের চলাচলের রাস্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই। এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি চাই আমরা।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রৌমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অর্ধশত নয় প্রায় ১১টি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে কলেজের মাঠ ও গেট ব্যবহার করে যাতায়াত করে আসছিল। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে কলেজের সীমানাপ্রাচীর ও গেট তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় পরিবারগুলোর যাতায়াতের জন্য পকেট গেট সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়। কিন্তু পরিবারগুলো মাঠের পূর্ব দিক দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা দাবি করছে। আমি কলেজে চাকরি করি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।’

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি দেখবো।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ