স্পোর্টস ডেস্ক।।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ৩২১ রান করেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যা তাদের সর্বোচ্চ।
৬৩ বলে চার ছক্কা ও সাত চারে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে এটি তার টানা চতুর্থ পঞ্চাশ। ওয়ার্নার পার্কের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের এই মাঠে সব মিলিয়ে পঞ্চম পঞ্চাশ।
প্রথম ছক্কায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকায় তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। পরে ব্যবধান বাড়ান আরও।
দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। যদিও তাণ্ডব চালান মূলত মাহমুদউল্লাহ। দারুণ সঙ্গ দেন জাকের। শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান তুলল বাংলাদেশ। এর ৬১ রানই এলো শেষ ৫ ওভারে।
সেন্ট কিটসে বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ওভার শেষে উইন্ডিজকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৯ রানের মাথায় আলজারি জোসেফের এক ওভারে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম এবং লিটন দাস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন গত দুই ম্যাচে চল্লিশ পেরোনো তানজিদ তামিম।
৫ বলে ডাক মেরেছেন তিনি। তামিম আউট হওয়ার এক বল পরই লিটন কুমার সাজঘরে ফেরেন। তিনি আউট হয়েছেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। আর এই আউটে শেষ হয়েছে সিরিজজুড়ে চলতে থাকা লিটনের সংগ্রাম। পুরো সিরিজে একবারও দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। সবমিলিয়ে রান করেছেন ৬।
৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ এবং সৌম্য সরকার। ধুঁকতে থাকা সৌম্য এদিন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। সেট হওয়ার পর বলও ভালোভাবে ব্যাটে আসছিল। তবে ৭০ পেরোনোর পর সেঞ্চুরির দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। গুদাকেশ মোটির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তিনি ফিরলে ভাঙে মিরাজের সঙ্গে তার ১৩৬ রানের জুটি। ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৭৩ বলে ৭৩ রান করেছেন সৌম্য।
সৌম্যর বিদায়ের পর মিরাজও বেশিক্ষণ টেকেননি। দলীয় ১৭১ রানের মাথায় রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৩ বলে ৭৭ রান করেছেন তিনি। পরের ওভারেই আফিফ হোসেনও আউট হলে আবার চাপে পড়ে বাংলাদেশ।