অন্যান্য

লালমনিরহাটে পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধর ও ছুরিকাঘাত; আহত ২

  প্রতিনিধি 11 January 2025 , 6:10:59 প্রিন্ট সংস্করণ

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ 
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধর ও ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে তারা মিয়া, সাইদুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
এতে শাহাজ উদ্দিন ও আবুল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল এলাকায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহাজ উদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল গ্রামের মৃত আঃ সামাদের ছেলে তারা মিয়া (৪৮), রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইদুল হোসেন (৩৩), মৃত ফজর আলীর ছেলে ময়নাল হোসেন (৪৮), আমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলাম (২০), মৃত ফজর আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম পাগলা (৪৫), তারা মিয়ার ছেলে লিমন হোসেন বাবু (২৭), মৃত চুলিয়া মনিরের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫), ময়নাল হোসেনের স্ত্রী আয়তন বেগম (৪০), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম (৫০), আমিনুল ইসলামের স্ত্রী আকছিদা বেগম (৩৮), আফজাল হোসেনের স্ত্রী আদুরী বেগম (২৬), ময়নাল হোসেনের মেয়ে শাহানাজ আক্তার পারভীন (২০), লিমন হোসেন বাবুর স্ত্রী আরিফা আক্তার (২২)।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শাহাজ উদ্দিন ও সাইদুলের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহাজ উদ্দিন মোটরসাইকেল চালিয়ে দইখাওয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তার মোটরসাইকেল থামিয়ে তারা মিয়া, সাইদুল ও তার লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তা দেখে শাহাজ উদ্দিনকে তার ভাগিনা আবুল হোসেন বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন। এমতাবস্থায় সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আবুল হোসেনকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করেন শাহাজ উদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া।
এর আগেও গত ২৭ ডিসেম্বর শাহাজ উদ্দিনকে মারধর করে তার পকেটে থাকা ব্যবসার ১৭৬৫০০ টাকা জোরপূর্বক বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তারা মিয়া, সাইদুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযুক্ত ময়নাল হোসেনের মেয়ে বলেন, আমার ফুপাতো ভাই সাইদুল একজন পাগল মানুষ। আমি এবং আমার ফুপাতো ভাই রাস্তার সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলাম। শাহাজ উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে মোটরসাইকেল আমার পাগল ভাইটাকে লাগিয়ে দেয়। আমার ভাই রেগে গিয়ে একটা মাইর দেন ওনাকে। পরে পাগল ভাইকে বাড়ি চলে যেতে বলে আমিও বাড়ি চলে যাই। তার একটু পরেই শাহাজ উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে এসে আমাকে, আমার বাবা, মা, চাচি ও দাদিকে মারধর করে চলে যান।
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন-নবী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ