অন্যান্য

লালমোহনে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ১১ জন আটক

  প্রতিনিধি 8 March 2025 , 5:19:27 প্রিন্ট সংস্করণ

 

লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা গরু চোর ডাকাত ও চিনতাইকারী চক্রের ১১ জনকে আটক করেছে। এ সময় চোরাইকৃত ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে অটিককৃত ১১ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ ব্যাপারে লালমোহন থানায় প্রেস ব্রিফিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লালমোহন (সার্কেল) মোঃ বাবুল আক্তার। জানান গত ২মার্চ দিবাগত রাতে লালমোহন উপজেলা চর কচুয়াখালী থেকে মোঃ জাকির মাঝি ও তার আত্মীয়ার গরু খোয়ার থেকে ১৬টি গরু লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ৩ মার্চ জাকির মাঝি লালমোহন খানায় ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা পরবর্তীতে লালমোহন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসি ও অন্যান্য অফিসার ফোর্স গণ তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে বরিশাল শহর পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার মাঝেচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল অপরাধী চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ নূরু গাজী (৪৫) জুয়েল মৃধা ৩০. মাইনুদ্দিন আবুল হাসেম (৪০) আবু তাহের (৪৭) দের আটক করে।

 

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগ নেতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

টিউলিপের বিরুদ্ধে বোনের নামে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

কচুয়ায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নড়াইলে ভ্যান নিয়ে কিশোরকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার 

ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে সড়ক নির্মাণে বিএসএফের বাধা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন জাকারিয়া আল ফয়সাল, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। জেলার ১১ টি কলেজ থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উপাচার্যের এ সকল সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অধিভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সুফল পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি-ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, আসরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল বাসার, তোতা মোল্লা, নাজমুল হক, এনামুল হক, রাকসানা খাতুন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।