শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়
ছয়গাঁও ইউনিয়নের ১২ই জঙ্গল গ্রামে মুক্তা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহিণীকে গ-লা কেটে হ-ত্যা করেছে দু-র্বৃ-ত্ত-রা।
স্ত্রীকে ঘরে রেখে তারাবির নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন স্বামী।
নামাজ শেষ করে ঘরে এসে দেখেন খাটের উপর স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্হানীয়রা ঐএলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো এলাকায়।
মঙ্গলবার ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও রাড়িজঙ্গল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মুক্তা বেগম (৫৫) বাড়িজঙ্গল গ্রামের মান্নান গাজীর স্ত্রী।
স্হানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়,,
স্ত্রী মুক্তা বেগমকে ঘরে রেখে তারাবির নামাজ আদায় এর জন্য মসজিদে যান স্বামী মান্নান গাজী। যাওয়ার সময় তিনি ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে রেখে যান। নামাজ শেষে ঘরে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করতেই মান্নান গাজী দেখতে পার তার স্ত্রী মুক্তা বেগমের গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে খাটের উপরে। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে স্হানীয়রা ঐএলাকার মসজিদের মাইকে ডাকাত ঢুকেছে বলে মাইকিং করে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেছে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে স্থানীয় একজন বলেন, মসজিদের মাইকিং শুনে ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে।
শুনতে পেয়েছি মান্নান গাজীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মান্নান গাজীর এক ছেলে প্রবাসী।
বিষয়টি নিয়ে ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারভেজ হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, এলাকায় ঘটনা বলে প্রচারণা চলছে, বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নই। মরদেহ উদ্ধারসহ প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনাটির বিস্তারিত বলা যাবে।।