সুমন আহমেদ
দোয়ারা'বাজার সুনামগঞ্জ
দোয়ারা'বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের শামারগাঁও গ্রামের মধ্যে খানে ব্রিজ না থাকায় হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির মাঝে পড়েছে। শ্রীপুর টু বাংলাবাজার যাওয়ার এক মাত্র রাস্তা মাঝখানে সামারগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী এই স্থানে ব্রিজ না থাকায় চারটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ও সাধারণ মানুষদের এবং গাড়ি চলাচলের পরমপর্যায়ে ভোগান্তির মাঝে এলাকাবাসী। নতুন পাকা সড়কের একটি ব্রিজ ভেঙ্গে প্রায় ১মাস যাবৎ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ওই বাজারের ও চারটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শিক্ষক'দের প্রতিষ্ঠানে যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে অসুবিধা হচ্ছে , বিকল্প রাস্তা না থাকায় উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন । ব্রিজ ভাঙ্গায় স্থানীয়রা অসহায় হয়ে পড়েছে। সাঁকো তৈরী না থাকায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। এই সড়কের আরও দুইটি ব্রিজের অবস্থাও ঝরাঝীর্ণ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শ্রিপুর টু বাংলাবাজার সড়ক’ নামে একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুদ্দিন বলেন এই সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছি । সেবুল নামের একটি ব্যক্তিকে ২০০০০ টাকার বিনিময়ে বাসের সাঁকো দিয়ে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয় অনার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ফলে এই সেতুটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এবং যদি পরবর্তীতে কোন ঘোষনা আসে ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, শ্রিপুর ও বাংলাবাজারের রাস্তা অধীনে মোট প্রায় ৯.৮৫ কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণ হয়েছে। শ্রীপুর টু বাংলাবাজার অংশে প্রায় ৯.৮৫ কি.মি. এবং শ্রীপুর পয়েন্ট অংশে থেকে প্রায় ৩ কি.মি. সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। বাকি অংশে এই কাজে হয়েছে ৬ কি.মি
এদিকে কাজ শুরুর আগে এই সড়কটি ছিলো কাচা। ব্রিজ ছিলো বাঁশে'র সাঁকো অনেক পুরনো। তবে রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায় আগে ভারী যানবাহন চলাচল কিংবা অতিরিক্ত যান চলাচল ছিলো না। তাই ওই ব্রিজ দিয়ে অনায়াসে মানুষ যাতায়াত করতে পারতো।
কিন্তু সড়কটি পাকাকরণ হওয়ায় কম সময়ে যাতায়াতের জন্য ভারী যানসহ বিভিন্ন শ্রেণীর যান এই সড়কটি ব্যবহার করছে। এতে ওই পুরনো ব্রিজ বাঁশে'র সাঁকো অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পক্ষ থেকে ইউওয়ন সাথে যোগাযোগ করার পরে আদেশ আসার পরে বাঁশের সাঁকো'টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজ ভাঙ্গা থাকায় বিকল্প সাঁকো না রাস্তা পারাপার হচ্ছেনা মানুষ। রাস্তা যান চলাচলে না ঘটলেও ছোট ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ওই সাঁকোর আশ পাশ দিয়ে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী বেশীরভাগ চা শ্রমিক হওয়ায় ওই সাঁকো নির্মানের সময় চাঁদা দিতে পারেন'নি। তাই তারা বেশ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা ব্রিজ দিয়েই চলাচল করছিল। নতুন পাকা না থাকায় সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, রোগীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পরে ব্রিজটির মাঝামাঝি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ব্রিজ'টি সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করে, তার জন্য ব্রিজের দুই পাশের বাঁশে'র সাঁকো ভেংঙে দিয়েছে।
এসময় রসিকতা নিয়ে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে বললেন,বাইরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট।সড়কটি পাকাকরণ ঠিকই হয়েছে তবে ব্রিজ সংস্কারের অভাবে যান চলাচলই বন্ধ। সড়কটি পাকাকরণ করে লাভ হলো কি?
স্থানীয় অনেকে সেবুল, ও লালন, আনিছ, জুলফিকার, মামুন বলেন, অনেকদিন যাবৎ ব্রিজটির অবস্থা ঝরাঝীর্ণ। ১মাস আগে পুরোপুরি ভেংগে দেওয়া হ'য়েছে। রোগী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিপদকালীন সময় চলাচলের জন্য স্থানীয়রা আর বলেন ওই বিকল্প সাঁকো না থাকায় অবস্থা খারাপ পর্যায়ে।
নাম জানাতে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক বলেন, এই ব্রিজটি বন্ধ হওয়ায় আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি।সরকারের কোটি টাকার উন্নয়ন মানুষের চোখে পড়ছে না এই ভাঙ্গা ব্রিজের কারনে। স্থানীয়দের মনে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই দ্রুত এই ব্রিজটি চালু করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা অতীব জরুরী।
কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে দেওয়ার কারনে যাতায়াতের দিক বিঘ্ন'তা ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি লাঘবের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নতুন সরকারের মহোদয়ের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রমজীবী জানায় তবে একটি ব্রিজের জন্য সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে, দ্রুত তা পুনঃনির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ইউওয়ন অফিস কর্তৃপক্ষ জানায় ব্রিজ টি 'র পুনঃনির্মাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।অনুমোদন না থাকায় সড়কের ব্রিজ'টি এখনো উদ্বোধন হয় নি!