২০১১ সালে কীর্তনখোলার তীরে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আজ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সঙ্কট থেকে মুক্ত নয়। প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুটি একাডেমিক ভবন, সীমিত আবাসন সুবিধা এবং ১৬৭ জন শিক্ষক নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যস্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট ও শিক্ষা পরিবেশের অবনতির অভিযোগ বহুলাংশে ছড়িয়ে পড়েছে।
অধিকাংশ বিভাগের জন্য শ্রেণিকক্ষের ঘাটতি থাকায় এক ব্যাচের ক্লাস চলাকালে অন্য ব্যাচগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আধুনিক গবেষণাগার, গ্রন্থাগার ও অডিটোরিয়ামের অভাব শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বারবার উপাচার্যের পদত্যাগের পেছনে রয়েছে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে প্রকৃত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যর্থতা দেখা দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করাই আমাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য। আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলেই সংকটের সমাধান সম্ভব।”
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয় পক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট কাটানো কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দক্ষিণবঙ্গের এই প্রধান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দ্রুত উন্নয়নের প্রত্যাশায় শিক্ষার্থীদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা ক্রমেই বাড়ছে।