অন্যান্য

শীতকে স্বাগত জানিয়ে, মণিরামপুরে পাড়া মহল্লায় চলছে কুমড়া” বড়ী” তৈরির ধুম  

  প্রতিনিধি 11 December 2024 , 6:02:42 প্রিন্ট সংস্করণ

জি এম ফিরোজ উদ্দিন

যশোরের মণিরামপুরে শীতকে স্বাগত জানিয়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা সহ মনোহরপুর ইউনিয়ন জুড়ে কুমড়োবড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রাম গঞ্জে নারীরা। শীত জেঁকে বসায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়োবড়ি তৈরির ধুম পড়েছে।শীত মানে বাড়তি অনেক কাজ।শীত মৌসুমে দিবা রাত্রে বাড়তি কাপড় ওঠে গায়ে।আর গ্রামিণ মহিলারা শীত কালিন খাবার তৈরী সহ নকসি কাথা তৈরী করতে সহ খাবার তালিকার অন্য রকম স্বাদের কুমড়োর বড়া তৈরীতে মহা ব্যস্ত থাকেন।আর এই কুমড়োবড়ি তৈরির উপযুক্ত সময় এই শীতকাল। শীতের সময় গ্রামীণ নারীদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। তার ওপর দিন ছোট, কাজও বেশি। এরমধ্যেই সকল কাজের আগে সকালবেলা কুমড়ো বড়া তৈরি করছেন নারীরা। কুমড়োবড়ি তরকারির একটি মুখরোচক উপাদান। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা।জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার শত শত নারী কুমড়োবড়ি তৈরির কাজে জড়িত রয়েছেন। শীতের আগমনের সাথে সাথে কুমড়োবড়ি তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে গ্রামাঞ্চলের নারীদের মাঝে। বর্ষাকাল বাদে বাকি মাসগুলোতে কম-বেশি কুমড়োবড়ি তৈরি করা হয়। আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন এই ৬ মাস কুমড়োবড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায়। শীতকাল কুমড়োবড়ি তৈরির ভরা মৌসুম। এ সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে কম-বেশি কুমড়োবড়ি তৈরি করা হয়। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এবং নারীরা বিভিন্ন বিভিন্ন স্থানে ও দোকানপাটে বেচ্ছেন। শীতের সময় কুমড়োবড়ির চাহিদা থাকে বেশি আর গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়োবড়ি তৈরি করছেন। কুমড়োবড়ি তৈরির প্রধান উপকরণ মাসকলাইয়ের ডাল আর চালকুমড়া। এর সাথে সামন্য মসলা। বাজারে প্রতি কেজি মাসকলাই ১৭০ থেকে ২০০ টাকা আর চাল কুমড়া ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ হিসেবে চালকুমড়া ১০০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ক্রয় করা যায়। ৫ কেজি চালকুমড়ার সাথে ২ কেজি মাসকলাইয়ের মিশ্রণে কুমড়া বড়া ভালো হয়। প্রথমে মাসকলাই রোদে শুকিয়ে জাঁতায় ভেঙে পরিষ্কার করে বা না ভেঙে পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। ৫-৬ ঘণ্টা মাসকলাই পানিতে ভেজাতে হয়। তারপর ঢেঁকি বা শিলপাটায় বেটে নিয়ে কুমড়োবড়ির মিশ্রণ তৈরি করা হয়। তবে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুমড়া বড়ি তৈরির মেশিন স্থাপনের পর থেকে সবাই মেশিনে মাড়াই করে মাসকলাই ও কুমড়ার মিহি করা হচ্ছে। এরপর দুটির মিশ্রণে কুমড়োবড়ির উপকরণ তৈরি করা হয়। মাঠ, বাড়ির আঙিনা, ছাদ বা খোলা জায়গায় ভোর থেকে বড়ি বসানো শুরু করা হয়। পাতলা কাপড়ে সারি সারি বড়ি বসানো হয়। কুমড়োবড়ি বসানোর পর দুই-তিন দিন একটানা রোদে শুকানো হয়। সূর্যের আলো কম হলে ৩-৪ দিন পর্যন্ত শুকাতে সময় লেগে যায়। শুকানোর পর কাপড় থেকে বড়ি উঠিয়ে পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। উপজেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের নাজমা বেগম,ও সাথী খাতুন জানান, ৫ কেজি কুমড়ার সাথে দুই কেজি মাসকলাইয়ের মিশ্রণে কুমড়া বড়ি ভালো তৈরি হয়। আগে মাসকলাই পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করা আর ঢেঁকিতে বা পাটায় বেটে বড়ি তৈরি করতে প্রচুর পরিশ্রম হতো। সেই সাথে অনেক সময় লাগত। এখন খোসা ছাড়ানো মাসকলাই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। মাসকলাই পানিতে ভিজিয়ে মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করে অল্প সময়ে বড়ি তৈরির মিশ্রণ তৈরি করা খুব সহজ হয়েছে।এতে করে অল্প সময় প্রচুর পরিমাণ কুমড়া বড়ি তৈরী সম্বব হচ্ছে।এক কেজি কুমড়া বড়ি তৈরী করতে প্রায় ১২০ টাকা মত খরচ হয়।আর বাজারে ২শ থেকে আড়াই শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কুমড়া বড়া। এতে পরিবারেব চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে।উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ বাড়ির চালে ও মাচায় শোভা পাচ্ছে বড় বড় চাল কুমড়া, যা দিয়ে তৈরী হচ্ছে কুমড়োর বড়ি।শীতের ভোরে শহর কিংবা পাড়া মহল্লায় গৃহিণীরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন বড়ি তৈরির কাজে।পাড়া মহল্লার গৃহিনীরা বাড়ির ছাদে,বাড়ীর পাশে রৌদ্রউজ্জল জায়গায় সকলে একত্রে দল বেঁধে আবার মাটিতে মাদুর পেতে বড়ি তৈরীর কাজ করছেন।সচেতন মহল বলেছেন,গ্রামীণ নারীরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন ও গ্রামীন অর্থনীতিতে গুরুত্বপৃর্ন অবদান রাখতে সক্ষম হবে। পৌর শহরে হাকোবা গ্রামের কুন্ডু পাড়ার ঠাকুরের চায়ের দোকানদার ঠাকুর দাদা বলেন আমাদের দোকানে ১০ থেকে ২০ কেজি বিক্রি করি ৪০০ টাকা ধরে কেজি বিক্রয় করি এবং রাজগঞ্জেও বিভিন্ন দোকানে দিয়ে থাকে এমনকি বিদেশে আমার একটা ছেলে আছে সেখানেও রপ্তানি করে থাকি। এবং কলই বাজারের আরটদার মাসকলই বিক্রয়তা রওশন আলী বলেন, শীতকালে একটু মাসকলই চাহিদা বেশি হয় তাই 2 /5 টাকা কেজিতে বাড়ায় বেচতে হয়।

আরও খবর

তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের শত বছরের দুর্ভোগ,সাকোর বদলে ব্রিজ ও পাকা সড়কের দাবি।

বর্ষায় মসলা ভালো থাকবে সহজ যে উপায়ে

শ্রীপুর মডেল থানায় হাসিনা-কাদেরসহ ৩৩৪জনের নামে মামলা, বিএনপি নেতাসহ মৃত ব্যক্তিও আসামী

দূর্নীতিবাজ (ডিস)হান্নানের যোগদান ঠেকাতে পৌরভবনের সামনে ঝাড়ু মিছিল

কিশোরগঞ্জে মাহফিল চলাকালে গুলি

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

                   

জনপ্রিয় সংবাদ