অন্যান্য

শ্যামনগরে চার বছর জ্বলাবদ্ধতায় রয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় 

  প্রতিনিধি 26 August 2025 , 12:17:49 প্রিন্ট সংস্করণ

মো: ইয়াছিন আলম :

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৬নং শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চার বছর জলবদ্ধতায় রয়েছে।

বৃষ্টির পানি নিঃস্কাসনের ব্যাবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে গত চারবছর যাবত

রয়েছে বিদ্যালয়টি। জলাবদ্ধতায় থাকার ফলে পাঠদানে সমস্যায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। একটি ভবন পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে অন্য একটি ভবনের বারান্দায়।

সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় স্কুলের মাঠ সম্পুর্ণ পানিতে ডুবে আছে। এবং বিদ্যালয়ে একটি টিনশেড ভবনের ভিতরে পানি প্রবেশ করায় ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা প্রতিদিন এই জ্বলাবদ্ধতায় ডুবে থাকা মাঠে পার হয়ে মেইন ভবনে আসেন।

শিক্ষকরা জানান,একটি ভবনেই সকল শ্রেনীর ক্লাস হয় এবং বর্তমানে শ্রেণি কক্ষ সংকট থাকার কারণ বারান্দায়ও পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের  চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র অভি সর্দার বলেন, আমাদের স্কুলের মাঠে বর্ষাকালে পানি জমে থাকে এই পানি সরে না, আমরা খুব কষ্ট করে স্কুলে আসি। আমাদের সবার পায়ে ঘা হয়ে গেছে। আমরা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারিনা। আমাদের স্কুলের এই সমস্যার সমাধান চাই। একই কথা বলেন পঞ্চম শ্রেনীর লামিয়া খাতুন মোঃ সামি সহ উপস্তিত সকল ছাত্র ছাত্রীরা।

বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী স্থানীয় মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেক আগে এই বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে দিয়ে একটা কালভার্ট ছিলো কিন্তু চার বছর আগে বিদ্যালয়ের মাঠ বড় করার জন্য মাঠ সংলগ্ন পুকুরটি ভরাট করা হয়। তখন সাথে থাকা কালভার্টটি মাটি ভরাট হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে বিদ্যালয়টি স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনটি পানি ঢুকে গেছে যে কারণে ক্লাস নেওয়া বন্ধ হয়ে আছে। আমরা এলাকাবাসী এটার স্থায়ী সমাধান চাই।

 

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমাদের এই বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা গত চারবছর যাবত। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুরু থেকে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতার শুরু হয় এই জলাবদ্ধ অবস্থা কার্তিক মাস পর্যন্ত থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও এই পাচ মাস সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষক গন প্রায় হাটু পানি পেরিয়ে বিদ্যালয় আসা যাওয়া করতে হবে। আমাদের একটি ভবন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। যে কারনে উচু এই ভবনের সবকয়টি রুম সহ বারান্দাতে ও ক্লাস নেয়া হয়। আর বর্তমানে পরিক্ষাও নেয়া হচ্ছে। বদ্ধ এই পানি পেরিয়ে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়ার কারনে বাচ্চাদের পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে গেছে। আমরা এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চাই।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন বলেন, বিষয়টা জানার পরে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যেয়ে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

মো: ইয়াছিন আলম :
০১৯৮৮০০০০৫২

জলবদ্ধতা থাকা ৬ নং শংকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবি

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ