অন্যান্য

শ্রীমঙ্গলে তীব্র গরমে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

  প্রতিনিধি 1 September 2025 , 2:43:09 প্রিন্ট সংস্করণ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কয়েক দিন ধরে বয়ে যাওয়া তীব্র গরমে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
সোমবার (১ সেপ্টম্বরের ) বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে অন্যতম উচ্চ তাপমাত্রা। প্রচণ্ড গরম ও রোদের তীব্রতায় সকাল থেকে এখন পর্যন্ত শহরের রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা।

শুধু জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা।

দিনমজুর রাজু মিয়া বলেন, “রোদে কাজ করা যায় না, মাথা ঘুরে পড়ে যেতে ইচ্ছা করে।

শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গরমের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা ঘামতে ঘামতে ক্লাস করছে। অনেক বিদ্যালয়ে ফ্যান থাকলেও গরমে তা যথেষ্ট নয়।

শিক্ষার্থী মিম বলেন, “পড়াশোনায় মন বসে না, শুধু ঘাম আর গরমে অস্থির লাগে।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দিলীপ বৈষ্ণব জানান, “গত কয়েক দিন ধরেই শ্রীমঙ্গলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজকের তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সকাল ১১ টার পর থেকে বাইরে বের হওয়া এখন এক প্রকার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকে ছাতা, ঠান্ডা পানীয় ও ফলের ওপর নির্ভর করছেন। তবে এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও সার্বিকভাবে গরমের কষ্ট লাঘব হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এ সময় গরমজনিত নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তারা সবাইকে প্রচুর পানি পান করা, অপ্রয়োজনীয়ভাবে রোদে না বের হওয়া এবং হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ