অন্যান্য

সকল পেশায় অবসর থাকলেও রাজনীতিতে কেন অবসর নেই?

  প্রতিনিধি 1 March 2025 , 5:22:28 প্রিন্ট সংস্করণ

বালী তাইফুর রহমান তূর্য

 

সকল পেশায় অবসরের নির্ধারিত বয়স থাকলেও রাজনীতিতে কেন নেই?রিটায়ারমেন্টে বা অবসরে তখনই পাঠানো হয় যখন কর্তৃপক্ষ বা স্বাভাবিকভাবে মনে হয় ঐ ব্যাক্তির শারিরীক বা মানুষিক সক্ষমতা ঐ পেশায় দায়িত্ব পালন করার জন্য আর যথেষ্ট নয়।মানুষ দুর্বল প্রানী,বয়স বারার সাথে সাথে তার শরীর দুর্বল হয়,মনের সাহসও হ্রাস পায়।অবসর বয়সে শুধু অভিজ্ঞতা বাড়ে,কিন্তু বয়সের একটি পর্যায়ে সেই অভিজ্ঞতা প্রয়োগের স্থান নির্ধারণের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা হারায়।

 

আমাদের দেশে প্রায় সকল পেশায় সাধারণত ৬০-৬৫ তেই রিটায়ারমেন্ট বা অবসরের বয়স হয়।এই বয়সে অবশ্য মানুষের নাতী নাতনি হয়ে যায়।চুলে পাক ধরে যায়,শরীরও দুর্বল হতে থাকে।নানান রোগ আক্রমণ করে।বয়স বাড়ায় মেজাজও খিটখিটে হয়ে যায়।ধৈর্য্য কমে যায়,অনেক সময় ভালো কথাও ভালো লাগে না।সেখানে রাজনীতিতে নেতারা বয়সের ভারে আবোল তাবোল বলা শুরু করলেও পদ ছাড়েন না।নেতারা অবসর নেন না বা নিতেও চান না।কিন্তু এর কারন কি?রাজনীতিতেও কি নির্ধারিত বয়স সীমা থাকা উচিৎ নয়?

দেশীয় প্রচলিত রাজনীতিতে দেখা যায় সাধারণত সিনিয়র নেতাদের সামনে নবীনরা কথা বলতেই কাপুনিতে ভোগে।কারণ নেতারা বদ মেজাজী,কথায় কথায় রেগে যান।এটার কারনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অনবরত জ্বালাতনের কারনে বিরক্তি ধরা,বয়সের ভারে খুবই বিরক্ত অনুভব করা এবং ক্ষমতার একটা গরম বা অহংকার।

 

বয়স বেরে গেলে বার্ধক্যজনিত কারনে অনেক সময় ভালো কথাও ভালো লাগে না,ভালো পরিকল্পনার দুরদৃষ্টিও লোপ পায়,যেকারণে রাজনীতিতেও অবসরের রিতী চালু হওয়া উচিৎ।সংসদে প্রার্থী হতে হলে যেমন নূন্যতম বয়সসীমা আছে সেরকম সর্বোচ্চও বয়স সীমা থাকা উচিৎ।

কারন বৃদ্ধরা উপদেশ দিতে পারেন,তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে নির্দেশনা দিতে পারেন,কিন্তু মাঠেঘাটে কাজ করতে তাদের উচিৎ উদ্দমী তরুনদের জন্য যায়গা করে দেয়া।তবে বয়সের পরিপক্কতা আসারও বিষয় রয়েছে যা ভোটাররা নির্ধারণ করবেন তাদের নেতার পরিপক্কতা এসেছে কিনা,কিংবা তিনি এখন সার্ভিসের শ্রম দেয়ার সক্ষমতা হারিয়েছেন বলে রিটায়ার করা উচিৎ।

 

তাই সকল পেশার ন্যয় রাজনীতি বা জনপ্রতিনিধি হিসেবেও বয়সসীমা বা অবসরের নির্ধারিত বয়স থাকা উচিৎ।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ