প্রতিনিধি 3 February 2025 , 9:02:09 প্রিন্ট সংস্করণ
জি এম ফিরোজ উদ্দিন
সজনে পাতার গুঁড়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরি।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সজনে পাতার গুঁড়া খুবই কার্যকরী প্রমাণিত হয়। কারণ সজনে পাতাতে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে, এটি রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।মরিঙ্গা পাতার ব্যবহার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।এটি ডায়াবেটিস সমস্যা নিরাময়ে কার্যকর।গবেষণায় দেখা গেছে, যে এটি শরীরের ওজনের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। সজনেপাতা রক্তে সুগারের পরিমাণ কমায়, যা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও সজিনা পাতার উপকারিতা:
প্রতিদিন সকালে এক চামচ সজনে পাতার শুকনা গুড়া পানিতে গুলিয়ে খেলে পেটের প্রদাহ, গ্যাস্ট্রিক মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটায়।
ভিটামিন,আয়রন,ক্যালসিয়াম এর অভাব পূরণ করে।
হজমের সমস্যা দুর হয়
কোষ্টকাঠিন্য (কষা) সমস্যা দূর করে।
পাইলস্ ও অর্শ্ব রোগে কার্যকরী
সজিনার পাতা হৃদরোগীদের জন্যে ঠিক ওষুধের মত কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখে।
এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে।
দৈনিক ৬ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদানকারী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম।
সজিনা পাতা গর্ভবস্থায় মায়ের শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে কোনো ধরনের পার্শ প্রতিক্রিয়া ছাড়া।মাইগ্রেন (মাথা) ব্যথা বা ঘুমের সমস্যা দূর করে।
কোমর, হাঁটু হাত-পায়ের আঙ্গুল ও জয়েন্টের ব্যাথা ভালো হয়।
ঠান্ডা জনিত হাঁপানি সমস্যা দূর করে।
স্বাস্হ্যহীনতা রুগ্নতায় শরীর সবল করে।
চোঁখ, হাত, পা জ্বালাপোড়া রোধ করে।
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করে।
ডায়াবেটিস এর দূর্বলতা দূর করে।
প্রসাবে জ্বালাপোড়া ইনফেকশন দূর করে।
শারীরিক দূর্বলতা রোধ করে।
বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা রোধ করে।
সজিনার পাতা ক্রিমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ক্রিমি সমস্যা করলে সজিনা পাতার গুড়ো খান।
সজনে পাতার গুঁড়া ত্বকে যেভাবে ব্যবহার করবেন: ১ টেবিল চামচ সজনে পাতার গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ গোলাপ জল এবং আধ টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। ঘনত্ব বুঝে প্রয়োজনে পানি যোগ করুন। ঘন এবং মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। সকালে এটা মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ হবে।