মোঃ আসাদ আলী খান:
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাররশি ও সতের রশি গ্রামে ভেকুও ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি কাটার প্রতিবাদে এলাকাবাসি ঝাড়ু মিছিল করেছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী বালু ও মাটিবাহী ট্রাক চলা-চলে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা। কিন্ত এলাকার কিছু অসাধু বালু ও মাটি ব্যবসায়ী এলাকার প্রভাবশালিদের ছত্রছায়ায় চাররশি ও ১৭ রশি গ্রামে অবৈধভাবে ফসলি জমি ও সরকারী খাস জমির বালু/মাটি কেটে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যদিও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনা করে আসছে, তবুও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দিনে ও রাতের আঁধারে বালু ও মাটির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ, ১৩ এপ্রিল ১১টার দিকে সদরপুর ইউনিয়নের ১৭রশি মধ্যপাড়ায় সরকারি খাস জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় শরিফ ফকির পিং সামছু ফকির সাং বাবুর চর কে বালু মহল আইন ২০১০এর ১৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন।
অপরদিকে চাররশিত মৌজার ফসলি জমির পাস থেকে আটরশি দরবার শরীফের নিজস্ব জায়গা থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে দরবার শরীফে। এই মাটি কাটার ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। তিনি আরও বলেন আপনাদের মাধ্যোমে বিষয়টা জানতে পারলাম অতি তাড়াতাড়ি যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আটরশি এলাকার জনৈক বাদশ মাতুব্বার ও সরোয়ার হোসেন মাতুব্বর স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় পেশী শক্তি ও প্রশাসনিক পাওয়ার খাটিয়ে মামলা-হামলার হুমকি ধামকী দিয়ে দিন রাত ফসলী জমির মাটি কেটে নিচ্ছে বলে জানা যায়। জনগণের জানমাল ও ফসলি জমি রক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান। চিঠিতে জেলা প্রশাসক ফরিদপুর ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর-কে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে এবং সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ বাস্তবায়ন ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিয়মিত অভিযান আগের মতোই অব্যাহত থাকবে এবং কেউ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে