রুমা আক্তার, সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি,
: রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও নগর বার্তার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন, কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান।
গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বিহঙ্গ পরিবহনের বাস হেলপারের সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিহঙ্গ পরিবহনের ছয়টি বাস আটক করে। পরবর্তীতে, আলোচনায় বসে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন মাহবুবুর রহমান, তখনই তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফুটেজ মুছে ফেলার অভিযোগ ওঠে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে। এছাড়া, তাকে ভিডিও না করতে হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির এক সদস্য বলেন, "এমন আচরণ নিন্দনীয় এবং এটি সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও শিক্ষার্থীদের তথ্য জানার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, এবং শিক্ষার্থীদের দাবি, সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি বন্ধ করতে হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান বলেন, "আমি শুধু আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম, তখন সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেন এবং ভিডিও মুছে ফেলেন। এমনকি আমাকে হুমকি দেন, আরও ভিডিও করলে থাপড় দেবেন।"
এ প্রসঙ্গে, অভিযুক্ত ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, "এই ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। আপনাদেরকে সাংবাদিক সমিতির রুমে বসে ঘটনা শুনতে বলছি। আমি বিশ্বাস করি, সঠিক তদন্ত হলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।"
অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, "এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। তবে ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।