প্রতিনিধি 8 May 2025 , 10:30:11 প্রিন্ট সংস্করণ
জেমস আব্দুর রহিম রানা
জেল ও জরিমানার বিধান রেখে ‘সাংবাদিকতার অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ নামে নতুন বিধান প্রণয়ন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এই খসড়া অনুযায়ী সাংবাদিকের পেশাগত নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা সরকার নিশ্চিত করবে। নিবর্তনমূলক কোনো আইনে তাকে গ্রেফতার করা যাবে না।
তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশের কারণে সাংবাদিককে কোনো ধরনের সহিংসতা, হুমকি ও হয়রানি করা যাবে না। কেউ সহিংস আচরণ, হুমকি প্রদর্শন এবং হয়রানি করলে তার বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাংবাদিককে সংবাদের তথ্যসূত্র প্রকাশ করতে বাধ্য করা যাবে না।
তথ্যসূত্র জানার জন্য সরকার, সরকারি কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ভয়ভীতি, শারীরিক ও মাসিক চাপ দিতে পারবে না। এসব বিষয় রেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।
প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন সংবাদমাধ্যম, সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে পরিচালিত বাংলা, ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্যাটেলাইটভিত্তিক বা ইন্টারনেটভিত্তিক কোনো রেডিও, টেলিভিশন, অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত স্থির ও চলমান চিত্র, ধ্বনি, লেখা, গ্রাফিক্স, মাল্টিমিডিয়া নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত সংবাদ সংস্থা এ আইনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পেশাগত কর্মে নিয়োজিত কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা ঘটালে, হুমকি প্রদর্শন এবং হয়রানি করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, এক বছরের জেল বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। জরিমানার অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হবে।
ক্ষতিপূরণের অর্থ দণ্ডিত ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা হবে। তবে কোনো সাংবাদিক যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেন এবং তা প্রমাণিত হলে সেই সাংবাদিককে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।