অন্যান্য

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

  প্রতিনিধি 11 October 2024 , 7:05:09 প্রিন্ট সংস্করণ

ডিস্ক রিপোর্ট :

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। তীব্র কাব্যিক গদ্য- যা মানুষকে ঐতিহাসিক মানসিক ক্ষতের মুখোমুখি দাঁড় করায় এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে, তার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেখালেখিতে হ্যান কাং ঐতিহাসিক মানসিক ক্ষত এবং নিয়মের অদৃশ্য অবস্থানের মুখোমুখি হন। তার প্রতিটি কাজে মানবজীবনের ভঙ্গুরতা ফুটে ওঠে। দেহ এবং আত্মা, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে তার এক অনন্য সচেতনতা আছে। তার কাব্যিক এবং পরীক্ষামূলক ধারা হয়ে উঠেছে সমসাময়িক গদ্যের উদ্ভাবক। হান কাংয়ের বয়স ৫৩ বছর। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাময়িকী ‘লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি’তে একগুচ্ছ কবিতা প্রকাশের মধ্যদিয়ে তিনি লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটান। ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় তার ছোট গল্পের সংকলন। তারপর থেকে তিনি দীর্ঘ গদ্য লেখা শুরু করেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বই ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’। এটি সহ তার অনেক বই ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৬ সালে ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার জেতে তার উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’। এতে তিনি মানুষের নিষ্ঠুরতা নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে থাকা এক তরুণীর ‘বৃক্ষের মতো’ বেঁচে থাকার চেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন। হান কাংয়ের জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংঝু শহরে ১৯৭০ সালে। তার ৯ বছর বয়সের সময় পরিবার সেখান থেকে চলে যায় সিউলে। তার পরিবার সাহিত্যের ব্যাকগ্রাউন্ডের। তার পিতা ছিলেন একজন বিখ্যাত উপন্যাসিক। হান কাং লেখালেখির পাশাপাশি নিজেকে আর্ট এবং মিউজিকে নিবেদিত করেছেন। তার পুরো সাহিত্যকর্মে এর প্রতিফলন ঘটেছে। তার লেখা ‘দ্য ভেজিটারিয়ান’ তিনটি অংশে লেখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার ঘোষণা করা হবে নোবেল পুরস্কারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট। আজ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবে নোবেল কমিটি। ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল দেয়া হচ্ছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও। এবারে নোবেলজয়ী পাবেন একটি নোবেল মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর অর্থমূল্য প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই অর্থ সমান ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে।

Author

আরও খবর

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কঠোর নিরাপত্তায় কাজ করছে শ্রমিকরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৪

ধ’র্ষ’ক’দে’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নকলা উপজেলা ছাত্রদলের মা’ন’ব’ব’ন্ধ’ন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন জাকারিয়া আল ফয়সাল, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন, রাজশাহী জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। জেলার ১১ টি কলেজ থেকে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভূক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, উপাচার্যের এ সকল সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগের প্রেক্ষিতে অধিভুক্ত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো যখন সুফল পেতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি-ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা এ ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা শাখার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, আসরাফুল আলম, দেলোয়ার হোসেন, নুরুল বাসার, তোতা মোল্লা, নাজমুল হক, এনামুল হক, রাকসানা খাতুন, অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।

জাবিপ্রবি গ্রীন ভয়েসের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: মাদ্রাসা ও এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিল

এক ঘন্টার জন্য জেলা তথ্য অফিসার শিক্ষার্থী জ্যোতি

                   

জনপ্রিয় সংবাদ