তোফাজ্জল ইসলাম:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সেরমস্তপুরে (মদিনাতুল উলুম হুসাইনিয়া পঞ্চগ্রাম শেরমস্তপুর মাদ্রাসা) হতে সাচনা বাজার পর্যন্ত এই মহা-সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ। সুনামগঞ্জ, সিলেট, ঢাকার যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল এই সি.এম.বি. রোড।
সড়কটি সবসময় হাজারো গাড়ি সহ মানুষের চলাচলে ব্যস্ত। সেই ব্যস্ত সড়কের দুই পাশে রয়েছে নানা প্রজাতির ছোট-বড় অসংখ্য গাছ। সেই অসংখ্য গাছে শোভা পাচ্ছে আল্লাহর জিকির। এমন দৃশ্য সড়কে পথচারী ও মুসাফিরদের নজর কেড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা থেকে জামালগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়কের দুই পাশের গাছে মহান আল্লাহ্’র গুণবাচক নাম ও আল্লাহর জিকির সম্বলিত ফেস্টুন লোহার পেরেক দিয়ে সাঁটানো হয়েছে। ঝড় বৃষ্টি থেকে ফেস্টুনগুলোকে বাঁচাতে করা হয়েছে লেমেনেটিং।
ফেস্টুনে লেখা রয়েছে মজিদের সংকেত, নামাজের নির্দেশনা ও কিছু সর্ট হাদীস তাছাড়া,আলহামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ আল্লাহ তাআলার অনেক গুনবাচক নাম ।
এমন দৃশ্য নজর কেড়েছে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষের। বাংলায় লেখা আল্লাহ তা’লার গুণবাচক নাম পড়ছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষ। স্থানীয়রা এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
পথচারীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন ---- গাছের মধ্যে আরো অনেক অ্যাড ও বিজ্ঞাপনের ফেস্টুন থাকে। অনেক সময় তাকাতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু আল্লাহর জিকির লেখা সম্বলিত ফেস্টুন গাছে সাঁটানো সত্যিই প্রশংসনীয়। সড়কের দুই পাশের গাছগুলো পরিবেশ বান্ধব। সেই সঙ্গে গাছে গাছে আল্লাহর জিকির লেখা দেখা মাত্র আল্লাহকে স্মরণ হয়। প্রতিদিন সকালে সড়কের পাশে হাঁটা হয়। তাই ফেস্টুন দেখলেই জিকির হয়ে যাবে। অনেকেরি জিকির অভ্যাসে পরিণত হবে। অবশ্যই এটা ভালো উদ্যোগ।
স্থানীয়রা বলছেন- সেরমস্তপুর সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফেস্টুনে আল্লাহ জিকির আর দিনী নির্দেশনা নয় তাদের আরো প্রশংসনীয় কাজের মধ্যে প্রাকৃতিক দূর্যোগে ত্রাণ বিতরণ , শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে।
উক্ত ফাউন্ডেশন সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , পঞ্চগ্রাম সেরমস্তপুরের ৩০ জন যুবক নিয়ে গঠিত এই সংগঠন টি শুধু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে তারা মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা জমিয়ে ফান্ড গঠন করেন। আর নিস্বার্থ ভাবে জমানো টাকা ব্যয় করে অসহায় মানুষের সেবা করার মধ্যেই তারা আনন্দ উপভোগ করেন।