কামরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যাতিক্রমধর্মী কৃষক স্কুল 'এগ্রোমেট ফার্ম (ফোরকাষ্ট বেইসড এপ্লিকেশন ফর ডিজেষ্টার রিক্স রিডাকশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট) স্কুল এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ বুধবার উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ সাদেকুল ইসলাম রিপনের বাড়ির উঠানে ব্যাতিক্রমধর্মী কৃষক স্কুলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধার সুপরিচিত একটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসকেএস ফাউন্ডেশন জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর অর্থায়নে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর সার্বিক সহযোগিতা এবং রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় গত ফেব্রুয়ারি,২০২৪ থেকে 'চাইল্ড সেন্ট্রার্ড এন্টিসিপেটরী একশন ফর বেটার প্রিপার্ডনেস অব কমিউনিটিস এন্ড লোকাল ইন্সটিটিউট ইন নর্দান এন্ড কোস্টাল এরিয়াস অব বাংলাদেশ' নামক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।
প্রকল্পটি গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলার প্রায় ১২ টি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লক্ষিত পরিবারের জীবিকায়ন ও সম্পদের ক্ষতি হ্রাসে কাজ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারগনের অংশগ্রহণ, সম্পৃক্ততা, সামর্থ্য ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে মোবাইল অনলাইনের মাধ্যমে বামিস পোর্টালসহ অন্যান্য আবহাওয়া সংক্রান্ত লোকেশন ব্যবহার কৃষি ফসলের চাষাবাদ সময়, পদ্ধতি,ইন্টাকালচার অপারেশন, পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরিবেশ বিবেচনায় রেখে কিভাবে কৃষকগন উপকৃত হবে সে সমস্ত বিষয়ের ওপর বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ/শিখন ব্যবস্থার জন্য এই স্কুলের উদ্বোধন করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন এই কৃষি ফার্ম স্কুলের ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে সেশন পরিচালনা, এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রতি মাসে পাক্ষিক ভিত্তিতে প্রতিটি স্কুলে ২ টি করে ১২ মাসের পরিকল্পনা মাফিক এবং কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে সেশন পরিচালনা করা হবে।
উক্ত স্কুলটি চলবে আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। উল্লেখ্য যে, এসকেএস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি গাইবান্ধা জেলায় মোট ৩টি উপজেলা যথাক্রমে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, এবং গাইবান্ধা সদর মোট ১২ টি ইউনিয়নে ১২ টি কৃষক ফার্ম স্কুল চালু করেছে। প্রতিটি স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে এমন অংশগ্রহণকারী কৃষক সদস্য সংখ্যা ২৫ জন। স্কুলের শুরুতেই কৃষকরা বলেন,এই স্কুলের মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকরা অনেক বেশি উপকৃত হবে এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
এসময় প্রকল্প কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার পাল বলেন, প্রতিদিনের আবহাওয়া বার্তা, বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতিবিধি,আদ্রতা ইত্যাদি বিষয়ে কৃষকরা সচেতন হবে। এছাড়াও এসব এই স্কুলের মাধ্যমে আশপাশের কৃষকগন উপকৃত হবেন
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান,প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মোছাঃ তাজনাহার আক্তার এবং মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।
S/GS