প্রতিনিধি 23 October 2024 , 5:06:04 প্রিন্ট সংস্করণ
কক্সবাজার জেলার সমুদ্র ঘেরা দ্বীপ মহেশখালী উপজেলাধীন সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা, যেমন: ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া এলাকায় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিধন করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। এই বিষয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এই বিষয়ে আশু ব্যবস্থা নিতে সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বেজা, পরিবেশ ও বন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর, জেলা প্রশাসক-কক্সবাজার এবং পুলিশ সুপার- কক্সবাজারসহ ১২ জনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। এক রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি জনাব ফাতেমা নজিব ও মাননীয় বিচারপতি জনাব শিকদার মাহমুদুর রাজী-এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত সকল অবৈধ চিংড়ী ঘেড় উচ্ছেদের পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জনাব মো: রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জনাব জয়নাল আবেদিন, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিক জনাব এম আজিজ সিকদার, জনাব মো: ইউনুস, ও জনাব সিরাজুল মোস্তফা রুবেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ জন ছাত্রসহ মোট ১২ জন মহেশখালীর বাসিন্দার এপক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টর আইনজীবী জনাব মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন রীটটি দায়ের করেন। রীট আবেদনটি শুনানি করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জনাব মোহাম্মদ শিশির মনির।