কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বদলি করা হয় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে। অভিভাবক শূন্য ছিলো জেলা প্রশাসন কার্যালয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক দায়িত্বে থাকায় হতাশায় ছিলেন জেলার সাধারন মানুষ। এতে বন্ধ ছিলো গণশুনানি। কুষ্টিয়া জেলায় নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিকুর রহমান আসার খবরে আশায় বুক বাধে সাধারন অসহায় মানুষগুলো। নবাগত জেলা প্রশাসক যোগদান করেই গণশুনানির উদ্যোগ নেয়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান এর মানবিক উদ্যোগে জনমনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর জেলা প্রশাসকের কল্যাণকর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। গণশুনানিতে সাধারন মানুষ তাদের সমস্যার কথা সরাসরি বলেন জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে। তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। আর সেখান থেকে তাদের সমাধান পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই।
এসময় জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, গণশুনানি চলমান থাকবে। সাধারন মানুষের কথা শুনে তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। আমার অফিসের দরজা সকল মানুষের জন্য খোলা। অনেক সময় পঙ্গু ও বৃদ্ধ মানুষ গুলো আসতে পারে না, তাদের বিষয়ে আমাকে অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তাদের মাধ্যমে তাদের বার্তা আমাকে পৌছে দিলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি সকলে একসঙ্গে কাজ করলে সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ভালো কাজ করা সম্ভব। তবে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, গণশুনানিতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে সুবিধা
নিশ্চিতকরণ এবং নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনের অঙ্গীকার পুনরব্যক্ত করেন নবাগত এই জেলা প্রশাসক।