নিউজ ডেক্স
একদিকে পেশাদার সাংবাদিকদের সাংবাদিক সুরক্ষা আইন নিয়ে যখন দেশব্যাপী আলোচনা । অন্যদিকে কথিত অনিয়মিত নাম সর্বস্ব পত্রিকা-অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি ও চাপাবাজির খবরে সয়লাব দেশ । তেমনি একজন নামধারী সাংবাদিক হাওলাদার এম রকি (এই নামটি তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নেয়া)। বেশ কিছুদিন যাবত এই নামধারী সাংবাদিক রকি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একজন ঠিকাদার রশিদ (সাব ঠিকাদার ) মূল ঠিকাদার কাজ দিলে যিনি কাজ করতে পারেন তার মত একজন সাব ঠিকাদারকে সাংবাদিক রকি বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে । মুখে যা আসছে তাই বলছে রকি কখনো বলছে ঠিকাদার রশিদ কয়েক শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন আবার কখনো বলছে তার নামে দুদিকে অভিযোগ দিয়েছি থানায় জিডি করেছি ইত্যাদি মিথ্যা ভয় ভীতি কর কথা বলিয়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি হইতে তাহার ঠিকাদারি লাইসেন্সটি খেয়ে ফেলবো বলে হুমকি দেয় কথিত সাংবাদিক রকি। এসব বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী রশিদ সংবাদের প্রতিবেদককে জানায় আমি তিতাসের সাব ঠিকাদার আমার জীবনে তিতাসের যত কাজ করার সুযোগ হয়েছে কোনদিনও আমি কোন দুর্নীতি করি নাই, আমি ২০০১ সাল থেকে অদ্যবধি তিতাসের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি তিতাসের সকল কর্মচারী কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে আমার সম্পর্কে তারা বলতে পারবে। ভুয়া সাংবাদিক রকি লোক মারফত আমার কাছে অর্ধ কোটি টাকা চাঁদা চায় তার এই হুমকি ধামকিকে আমি মোটেও গুরুত্ব দেই নাই কারণ তার সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা । কারন আমি আরো খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার পারিবারিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে আমার শ্বশুর বাড়ির কিছু প্রতারক চক্র মাদক ব্যবসায়ী যারা আমার স্ত্রীর সম্পত্তি অবৈধভাবে নিতে পারে নাই তারা এই রকির সাথে একত্রিত হয়ে তাকে কিছু টাকা খাওয়াইয়া আমার বিরুদ্ধে কুকুরের মত লাগাইয়া দিয়েছে। আমি প্রকৃত সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে শ্রদ্ধা করি কিন্তু একতরফা যার বিরুদ্ধে সংবাদ তার বক্তব্য ব্যতীত প্রকাশিত সংবাদকে ঘৃণা করি। দেশে যেমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন রয়েছে তেমনি ভুয়া সংবাদ প্রকাশকারী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও মামলা করার সুযোগ আছে। হাওলাদার এম রকির বিরুদ্ধে এবং তাকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা দেয় তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এরা একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র সাংবাদিক পরিচয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে সমঝোতার নামে চাঁদাবাজি করে আসছে। কথিত রকি বিভিন্ন পত্রিকার ও অনলাইনের ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। কখনো বলে আমি এস টিভির সাংবাদিক কখনো বলে স্বাধীন বাংলায় কাজ করি আবার কখনো বলে জাগো কন্ঠের সাংবাদিক এই বিষয়ে ভুক্তভোগী রশিদ একটি চাঁদাবাজি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়।