নাজমুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের দক্ষিণ বঙ্গের প্রবেশ দ্বার ২১ জেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া -পাটুরিয়া ফেরী ঘাট, এক কথায় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ রুট।
জানা গেছে ২০২১ সালে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে অনেকটা অকেজো হয়ে গেছে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ রুট। নেই আগের মত হকারদের সেই ঝালমুড়ি, চানাচুর, বাদাম,পেয়ারা,বই,পত্রিকা সহ বিভিন্ন ধরনের ফলফলাদি পাউরুটি-বিস্কুট বিক্রির হকারদের ডাকাডাকি। কর্ম শুন্যতা হয়ে গেছে হাজারো ব্যবসায়ী। ফলে কর্মহীন হয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজারের বেশি লোক।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরীঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায় একে বারেই শুন্য হয়ে গেছে লঞ্চঘাট ফেরীঘাট। যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকতো। যেখানে শোনা যেত হকারদের চেঁচামেচি,আরো দেখা যেতো বাস, ট্রাক সহ শত শত যানবাহনের লম্বা লাইন অপেক্ষা করত ফেরী জন্য। এখন সেখানে ফেরী অপেক্ষায় যানবাহনের জন্য।
দৌলতদিয়া টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বাস, ট্রাক বা অন্য যানবাহন থাকলেও নেই আগের মত যানজট। নেই আগের মত চেঁচামেচি। দৌলতদিয়া ঘাটে চায়ের দোকানদার সিদ্দিক শেখ,ফলের দোকানদার ইদ্রিস, সুলতান, আঃ রাজ্জাক সহ অনেক ব্যবসাযী হকার বলেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগের মত বেচাকেনা নেই আমাদের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে আমাদের মত অনেক দোকানদার, বিভিন্ন ব্যবসায়ী,হকার গন বেকার হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেক ব্যবসায়ী বলেন আমরা নদী ভাঙন এলাকার লোক। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আমরা এই ঘাটে ব্যবসা করতাম, এখন পদ্মা সেতু হওয়ার পরে আমরা কর্মহীন হয়ে গেছি। আমরা এখন কি করবো সংরসার চলবে কি করে? দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ফেরীঘাট এলাকার স্হানীয় লোকজন ও অনেক ব্যবসায়ি হকাররা জানান, এভাবে চলতে থাকলে এই দুইটি ঘাটের চিরচেনা দৃশ্য চিরকালের জন্য মুছে যাবে। তাঁরা আরো বলেন এই দুইটি ফেরী ঘাট লঞ্চ ঘাটের পূর্বের দৃশ্য ফিরিয়ে আনতে
বর্তমান সরকারের নজর দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্পোরেশন (BIWTC) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্হাক মো. আলিম দাইয়ান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ রুটে প্রায় ৭০% যানবাহন কমে গেছে ফলে এ ঘাটের জৌলুশ হারিয়ে গেছে। বর্তমান এ ঘাটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে না ফেরী গুলো অলস সময় কাটাচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটের দুই পাশে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গোয়ালঘরের রুপ নিয়েছে। ফলে শত শত দোকান পাঠ ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অকেজো হয়ে গেছে এবং হকার সহ হাজারো লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়েছে।