হালুয়াঘাট ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
হালুয়াঘাটে নাগলা বাজারে প্রতিপক্ষকে মসজিদে ঢুকে কুপিয়ে জখম করেছে দুস্ককৃতি কারীরা।
দীর্ঘদিন যাবত সেচ ও মসজিদ কমিটি নিয়ে রুস্তম ফকির গং ও প্রতিপক্ষ হাফিজ উদ্দিন গংগের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
তারই ফলে ৫/২/২৫ ইং বুধবার সন্ধ্যায় হাফিজ গং এর বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে ইফতারের প্রস্তুতিকালে রুস্তম ফকির গংগের লোকজন দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন ইফতারের সময় রাসেল ফকির, সায়েম ফকির, রুস্তম আলী ফকির, আশিক ফকির, দিপু ফকির, জুয়েল ফকির, রিফাত খান ও আরো অনেকে এক সাথে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রবিন ফকিরকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে।
এ সময় আত্ম রক্ষার্থে রবিন ফকির পাশ্ববর্তী মসজিদে ঢুকলে হামলাকারীরা মসজিদের ভিতরে ঢুকেই তাকে দা, ছুড়ি ও শাবল দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে জখম করে রক্তাক্ত করে। এসময় হামলা কারীরা প্রতিপক্ষ সোহেল ফকিরের দোকানে ঢুকে ভাংচুর করে এবং লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনা চলাকালে হামলাকারীরা মুমুর্ষ রোগীবাহি একটি এম্বুল্যান্সেও ভাংচুর চালায়।পরে জানা যায় এম্বুল্যান্সে থাকা ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আহত রবিন কে মুসুল্লিরা উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করে।
এই বিষয়ে জয়নাল ফকির বলেন,তারা বিগত আওয়ামী লীগ আমল থেকে আমাদের উপর দলীয় প্রভাবে নির্যাতন করে আসছিলো। সে সময় অনেক বার আইনের আশ্রয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু সে সময়ে তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকার কারণে উল্টো প্রশাসণ আমাদেরকে শাসিয়েছিলো।
তারা আওয়ামী লীগের খাশ লোক।
এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, মসজিদ থেকে ভিকটিমের রক্তাক্ত জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে,দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে এবং রাসেল ফকিরকে ফুলপুর থেকে আটক