স্টাফ রিপোর্টার
মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিন দিয়ে হেলিকপ্টার তৈরী করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে খুলনার নাজমুল। খুলনার সরকারি বিএল কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল অনলাইনে দেখে দেখে মেধা খাটিয়ে বানিয়েছেন হেলিকপ্টার। এখন উড়াবার অপেক্ষায় আছেন তিনি। খুলনার ফুলতলার ছাতিয়ানি গ্রামের কৃষক পরিবারের একমাত্র সন্তান নাজমুল। পড়াশুনা করছেন বিএল কলেজের ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষে। নিজের স্বপ্ন থেকে অনলাইনে দেখে তৈরী করেছেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারের বডি তৈরীতে ব্যাবহার করেছেন এস এস পাইপ। আর চায়না দেড়শ সিসির মটর সাইকেলের ইঞ্জিনের আরপিএম সাড়ে ছয় হাজার থেকে বাড়ীয়েছেন নয় হাজার আরপিএমএ। এর পাখা সাড়ে আট ফিট লম্বা, চওড়া ২১ মিটার। পুরো হেলিকপ্টারটির দের্ঘ্য সাড়ে ২২ফিট। হেলিকপ্টারটি এক লিটার অকটেনে ১৮ থেকে ২০ মিনিট চলবে। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ৩২০ কিঃ মিঃ / ঘন্টা। নাজমুল ইসলাম খান বলেন, ছোট বেলা থেকেই তার দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ ছিলো তার। সেই চেষ্টা থেকে সে দেশীয় প্রযুক্তিতে এই হেলিকপ্টার তৈরী করেছেন। এটি করতে তিম বছর সময় লেগেছে খরচ হয়েছে দুই লক্ষ। তিনি আরে বলেন, কিছু দিন পরেই তিনি এটি উড়াবেন। নাজমুলের এ কাজের একাগ্রতা ও শ্রমের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তার পিতা।
নাজমুল ইসলাম খানের পিতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, তার ছেলে নিরলস ভাবে খেটেছে। তার আর্থিক যোগান পরিবারের আমরাই দিয়েছি। এখন সে সফল হলে সেটা দেশের কাজে লাগলেই তারা ধন্য। নাজমুলের এই সাফল্যে আনন্দিত প্রতিবেশীরাও। শাহনেওয়াজ নামে এক প্রতিবেশী জানান, নাজমুল এমনি ভালো ছেলে। সে হেলিকপ্টার বানানোর কথা শুনে আমরাও আনন্দিত। আমরা চাই সে সফল হোক। তার সাথে সাথে সে আমাদের এলাকার নামও বড় হবে। হেলিকপ্টারটি তৈরী করতে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে নাজমুলের। পরিবারের মা বাবার কাছ থেকেই টাকা নিয়ে তিন বছরের চেষ্টায় সফল হয়েছে সে। এখন প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতার।