প্রতিনিধি 15 April 2025 , 1:42:10 প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের হ্নীলা ইউপির মৌলভীবাজার, হোয়াব্রাং, জালিয়াপাড়া ও চৌধুরী পাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সিন্ডিকেট ভিত্তিক মাদক, আদম ও পণ্য পাচার অব্যাহত রয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,হ্নীলা মৌলভীবাজার উত্তর পাড়ার মোঃ ইসমাঈলের ছেলে মোঃ জোহার (২৫), শামসুল আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৬), মোহামদ আলীর ছেলে মাঈন উদ্দীন (৩০), আবছার উদ্দিন (২৭), দক্ষিণ পাড়ার মোঃ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২৭) এবং মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের সিন্ডিকেট মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে দিন-রাত বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধউপায়ে ডিজেল, অকটেন, চাল,ডাল,চিনি বিস্কুট ও সেমাইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পাচার করে দেশের বাজার গুলোতে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী করে তুলছেন। ফিরতি পথে নিয়ে আসছে মাদকদ্রব্যের চালানও (আদম) মগবাগী।সম্প্রতিগত দুই/ তিন সপ্তাহর ব্যবধানে উক্ত সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৩ বার বড় বড় মাদকের চালান তুলেছে চোরা কারবারীরা।
এছাড়াও ডলার পাচার,হুন্ডি ও স্বর্ণ পাচার করে নিজেরা কোটি কোটি টাকার মালিক হলেও দেশের অর্থনীতির বারটা বাজাচ্ছে। হ্নীলা নাফনদী সীমান্তের ১ থেকে দেড় নাম্বার সুলিশ গেইট এলাকা দিয়ে ৩৪ জনে সিন্ডিকেট সদস্য হোয়াব্রাং এলাকার আব্দু রহমানের ছেলে ফরিদ নুর নুর(৪৮), কবির হাজীর ছেলে হামিদ হোছন (৩০), আব্দু রহমানের ছেলে জাফর আলম (৩০), ছৈয়দ নুরের পুত্র মোঃ রফিক, নুরুল আলমের পুত্র আবছার উদ্দিন, বদি আলম প্রকাশ কানা বদি (৩৬), মোঃ রফিক প্রকাশ লালু (৩২), কালামিয়ার ছেলে সোনামিয়া প্রকাশ সোনা ভাই (২৮) ও ছৈয়দ আলমের ছেলে আবুল কাশেম (৩৪ )সহ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নদীতে অবস্থানকারী সন্ত্রাসী নবী হোছন ও মুন্না গ্রুপের লোকজনের মাধ্যমে ওপারে রসদ-পাতি সরবরাহ, তথ্যপাচারসহ অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্যসূত্রে খবর রয়েছে।
একই কায়দায় নাফনদীর হ্নীলা জালিয়াপড়া, চৌধুরী পাড়া ও রঙ্গীখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে হ্নীলা নাটমুরাপাড়ায় অবস্থানকারী মৃত মোঃ সালামের ছেলে কামাল (২৬), মংবুসী রাখাইনের মেয়ে জামাই বর্মী মরুসী (২৮) এবং পূর্ব রংগীখালীর ডাইলার ছেলে অস্ত্রবাজ রাসেল (১৯) সহ অনেকে রয়েছে।
গত ৩১ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টারদিকে উক্ত সিন্ডিকেট গুলো একে অপরের সাথে যোগসাজশে গত ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম নিধন শুরু হলে এদেশের কিছু উগ্রপন্থী রাখাইন যুবক হ্নীলা পুরাতন বাজারস্থ মগপাড়াও চৌধুরীপাড়া থেকে সেদেশে গিয়ে মুসলমানদের নানা নির্যাতন করেছিল। সেই দেশে এখন তাদের সাথে যখন সরকার পক্ষের যুদ্ধ চলছে তখনতারা তা থেকে বাঁচতে এখন আবারো এদেশে চলে আসছে ঐ সমস্ত রাখাইন সন্ত্রাসীদেরএদেশে ফেরত আনতে চোরাকারবারী সিন্ডিকেট গুলো মোটাংকের মিশনে নামছে। এরই সুত্র ধরে গত ৩১ মার্চ ১০ জন উগ্রপন্থী রাখাইনকে ফেরত নিয়ে আসছে। বর্তমানে ঐসমস্ত মগবাগী উগ্রপন্থী রাখাইনরা হ্নীলা পুরাতন বাজার মগপাড়ার বাসিন্দা ফাঁশি রাখাইনের সাথে রয়েছে।
অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়ার জন্য যোগাযো করা হলে গ্যাং প্রধান জাহাঙ্গীর আলম তার মুটোফোনে বলেন,আমি এগুলোর সাথে জড়িত নয় লবণ চাষ করে ভাত খাচ্ছি। অপরদিকে চৌধুরীপাড়া সীমান্তের গ্যাংপ্রধান কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে উল্টো হুমকি দিয়ে বলেন লিখে আমাদের কিছুই করতে পারবিনা। বেশী বাড়াবাড়ি করলে নাফনদীতে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপহরণের ও হুমকি প্রদান করেছেন।
অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাকরে তাদের নাগাল না পাওয়াতে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।