প্রতিনিধি 5 November 2024 , 7:02:20 প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারোঘরিয়ায় প্রায় ৪০ বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার বঞ্চিত হয়ে অসহায় দিন যাপন করছে একটি পরিবার৷ পরিচয় দিতে গেলেই দেয়া হয় হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি। মাসখানেকের সংসারের পর ডিভোর্স দিলেও স্ত্রী-সন্তানের পরিচয় দিতে নারাজ স্বামী। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলেও মেলেনি সুরাহা। বর্তমানে বাবার পরিচয় দিতে না পারায় জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাবসহ কোনকিছুই করতে পারছেন না সন্তান।
৪০ বছর আগে প্রেমিকের দেয়া চিঠি যত্ন করে আগলে রেখেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার বারোঘরিয়া গ্রামের শওকাতারা বেগম। এখনও সেই ৪ দশক আগের চিঠি দেখে আবেগে আপ্লুত হন তিনি। চিঠির সাথে একই ফাইলে থাকা ডিভোর্স পেপারও রেখেছেন সযত্নে। গৃহকর্মীর কাজ করে সন্তানকে লালন-পালন করলেও ডিভোর্সের ৪০ বছর পর নতুন করে পড়েছেন নানারকম সমস্যায়। বিয়ে ও ডিভোর্স হলেও সাবেক স্বামী আব্দুর রাজ্জাক পরিচয় দিতে নারাজ। যার ফলে আটকে রয়েছে একমাত্র ছেলের জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ।
জানা যায়, প্রতিবেশি আব্দুর রাজ্জাক ও শওকাতারার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একটি মামলায় পুলিশের ভয়ে শওকাতারার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কয়েক মাস সেখানে বসবাস করেন আব্দুর রাজ্জাক। এরই সূত্রে গড়ে উঠে গভীর সম্পর্ক। এক পর্যায়ে শওকাতারা গর্ভবতী হলে তা দুই পরিবার ও আশেপাশের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হয় বিয়ে। বিয়ের ৩-৪ দিন পরই সন্তান প্রসব করেন শওকাতারা বেগম। পরবর্তীতে মাসখানেক সংসারের পর ডিভোর্স দেন আব্দুর রাজ্জাক। যা পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদে বসে সুরাহা হয়৷ কিন্তু বর্তমানে পরিচয় দিলেই দেয়া হয়ন নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি। প্রভাবশালী ও বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হওয়ায় রাজ্জাকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি বলে জানান প্রতিবেশীরা।
ভক্সপপ- (১-৩) স্থানীয় বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী
বিয়ে ও ডিভোর্স দেয়ার কথা স্বীকার করলেও তা ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ আব্দুর রাজ্জাকের। অন্যদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের উপস্থিতিতেই হয়েছে বিয়ে ও ডিভোর্স। স্ত্রী-সন্তান হিসেবে পরিচয় অস্বীকার করারও কোন সুযোগ ও আইনগত ভিক্তি নেই বলে মনে করেন তারা।
সট-০৩, জাকির হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য, বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। অ্যাড. মোহা. আবু নজর হোসেন খাঁন ব্রিটিশ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
সট-০৫ (ফোনো), আব্দুর রাজ্জাক শওকাতারা এক সন্তানকে নিয়ে আর দ্বিতীয় বিয়ে না করলেও আব্দুর রাজ্জাক দ্বিতীয়বার বিয়ে করে বর্তমানে আরও তিন সন্তনের জনক।