প্রতিনিধি 5 May 2025 , 6:44:09 প্রিন্ট সংস্করণ
এস এম মনিরুজ্জামান
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সাড়ে আট কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং কাজ শেষ না হতেই হাতের খোঁচায় উঠে যাচ্ছে পিচের ঢালাই ও পাথর। এতে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—এত বড় প্রকল্পে এমন নিম্নমানের কাজ কীভাবে চলছে?
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (LGED) ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ধলডাঙ্গা ঘাটপার পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মেরামতের প্রকল্প গ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রায় ১,৬০০ মিটার অংশ আরসিসি এবং বাকি অংশে কার্পেটিং হওয়ার কথা। প্রকল্পের অর্থায়ন করছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
প্রকল্পটির মূল দায়িত্ব পায় কুড়িগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “আরএবি-আরসি-বিসি-এইচটি জেভি”। তবে অভিযোগ রয়েছে, পরবর্তীতে কাজটি সাব-কন্ট্রাক্টে তুলে দেওয়া হয় মোঃ বেলাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে, যিনি নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়—সড়কের অধিকাংশ অংশেই পিচের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে হালকা চাপেই। পায়ে লেগে যাচ্ছে পিচ, গাড়ির চাকার দাগ বসে যাচ্ছে, এমনকি ধুলাবালির ওপরই ঢালাই দেওয়া হয়েছে অনেক জায়গায়। এলাকাবাসী বলছে, নিম্নমানের বিটুমিন, অপরিকল্পিত কম পুরুত্বের ঢালাই, এবং পরিষ্কার না করে কাজ করায় সড়কটির এমন দুরবস্থা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিও দেখে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে মোঃ বেলাল হোসেন দাবি করেন, “কাজ চলমান, বিটুমিন ঠিকমতো জমাট না বাঁধায় সমস্যা হয়েছিল, পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।”
তবে উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক সরকার বলেন, “কাজে কোনো অনিয়ম পাইনি। কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছিল, ঠিকাদারকে তা ঠিক করতে বলা হয়েছে।”
তবে জনসাধারণের প্রশ্ন, একের পর এক দুর্বলতা থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে এসব ‘অনিয়ম’ দেখেও দেখছে না?