প্রতিনিধি 23 May 2025 , 9:24:05 প্রিন্ট সংস্করণ
পদত্যাগ করলে নিভে যাবে একটি নৈতিক আলোকবর্তিকা, আর জেগে উঠবে সেই অন্ধকার যারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে গণবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।একজন ইউনূসের পিছু হটা মানেই কোটি মানুষের আশাভরসা ধসে পড়া; এটা শুধু পদ নয়, একটা যাত্রার সমাপ্তি। ড. ইউনূস যদি সরে যান, হারাবে সাহস—জাগবে ষড়যন্ত্রকারীরা; ইতিহাস ফের দাঁড়াবে বঞ্চিতদের বিপক্ষে। নেতা সরে গেলে নেতৃত্ব নয়, স্বপ্নটাই মরে যায়—এই পদত্যাগ জাতির আত্মবিশ্বাসের উপর চরম আঘাত
কে,এম,মোজাপ্ফার হুসাইন
জাতির আস্থার প্রতীক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন সামনে আসতেই দেশজুড়ে উদ্বেগ, আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই মুহূর্তে তাঁর সরে যাওয়া কেবল একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং গোটা জাতির জন্য হতে পারে একটি ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী মোড়।
ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে হারাবে বাংলাদেশ। জাগবে সেই দানবেরা, যারা গণতন্ত্র নয়—লুটপাটে বিশ্বাসী।”
,“ইউনূস কোনো গোষ্ঠী বা দলের প্রতিনিধি নন। তিনি উঠে এসেছেন জনগণের ঐতিহাসিক আকাঙ্ক্ষা থেকে। তাঁর সরে যাওয়াটা হবে সেই আকাঙ্ক্ষার ওপর সরাসরি আঘাত।”
এই মুহূর্তে যখন দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও করপোরেট দখলদারিত্বের হুমকি বেড়েই চলেছে—তখন জনগণ ড. ইউনূসের মাঝে দেখছে একটি বিকল্প নেতৃত্বের রূপরেখা। তাঁর পদত্যাগ মানেই এই বিকল্প স্বপ্নের ভেঙে পড়া।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূসের এই সিদ্ধান্ত গণআস্থার ভিত্তি নড়বড়ে করে দিতে পারে। পদত্যাগ করলে তা রাজনৈতিকভাবে শুধু এক ব্যক্তির নয়, গণ-আশা ও ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনার ব্যর্থতা হিসেবেই বিবেচিত হবে।
“আজ যারা ড. ইউনূসকে চাপ দিয়ে সরাতে চায়, তারা জানে—এই নেতৃত্ব থাকলে দুর্নীতির, দখলদারির আর ভোট-চক্রান্তের রাজনীতি টিকে থাকবে না। তাই তাঁকে সরানো মানেই সেই চক্রের জয়।”
তিনি স্পষ্ট করে সতর্ক করেন, “দেশকে যদি গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়, তার দায় থাকবে সেইসব চক্রান্তকারী মহলের ওপর—এবং ইতিহাস তা ভুলে যাবে না।”
অন্যদিকে তরুণ সমাজ, নাগরিক সমাজ এবং প্রগতিশীল অংশ বলছে, এখন সময় পিছু হটার নয়—প্রতিরোধ গড়ে তোলার।
কারণ, যদি ড. ইউনূস হারেন, হারাবে মানুষ—হারাবে এক বিকল্প বাংলাদেশের স্বপ্ন।