কলমেঃ- কৃতদাস-
পৃথিবী আমারে ডেকেছিল যবে-
কালো মেঘ ঢাকিয়া রাখিয়া মানবতার গলা চাপিয়া সেদিন অসুর উঠেছে জাগিয়া!
তাই আমি মানি-না তোমার-ও নিয়ম ছাড়িয়া বিধান ফেলিবো ছিড়িয়া,
করিব বিদায় অত্যাচারীর গড়িবো সমাধি আজ।
আমি উঠিবো কবর ফুড়িয়া শত শত বার মৃত্যু হলেও জুলুমকারীতে করিতে নিপাত।
আমি ত্রিশূল হাতে দাঁড়াবো রাজার প্রাসাদ ভাঙিতে-
প্রজার অধিকার যদি কেড়ে নিতে চাই,
ভন্ড রাজাতে বন্দী করিতে লোহার খাঁচাতে, করিতেছি আজ পন।
আমি শান্তি ফেরাতে বার বার আসি পৃথিবীতে,
কোনো সম্রাট যদি অত্যাচারে পিড়ন করিতে চাই এ পৃথিবীর ভূমিতে।
আমি প্রয়োজনে জাগি জুলফিকার হাতে-
সকল প্রজার অভিযোগ লিখে নিতে।
আমি কোমল হৃদয়ে জাগাতে আসি প্রেমময় বারিধারা,
আমি শীতল করিতে পরি আগুনের যতো জ্বালা,
আমি বিষের পেয়ালা হাতে তুলে নিলে,
সে-যে মধুর রুপেতে হয় অমৃত সুধা।
আমি ভালোবাসা দিতে,
রজনী বরণে চুমিতে নয়ন ঘুম ঢেলে দিতে।
আমি জাগিয়া থাকি প্রেম ভরে দিতে,
চন্দ্রিমা রাতে হয় যদি ভয়'ও পারি বুকে তুলে নিতে।
আমি আগুনের ফুল দিয়ে পারি পৃথিবী পোড়াতে,
আমি মেঘমল্লার মতো এলোমেলো পথে আসি, পরাতে রাজাতে গলার-ও ফাঁশি।
আমি প্রতি যুগে আসি হাতে নিয়ে বাঁশি কেষ্টর প্রেম লয়ে,
আমি অসহায় জাতির ক্রন্দনে ভাসি,
শত যাতনা সহি মোর মুখে লয়ে হাসি।
আমি লাথি মেরে ভাঙিবো রাজার আসন ফু দিয়ে পোড়াবো প্রাসাদ,
আমি আজরাইলের সাথে ছুটে চলি পথে হাতে রেখে হাত।
আমি জন্মের আগেই মৃত্যু শিখেছি পৃথিবী করিতে গ্রাস,
আমি মহা-সমুদ্রের বুকে হুঙ্কার উঠি আমিই-সে জলোচ্ছ্বাস,
আমি পৃথিবী ভাসায়ে মারিবো ডুবায়ে গড়িবো নতুন মহাআকাশ।
আমি নতুন ভুমিতে রোপণ করিবো ফুলের বাগান সাজাতে করিবো চাষ।
আমি জীবন জাগায়ে মানুষ করিতে পৃথিবীর বুকে হবে স্বর্গীয় সুভাস।
আমি ফাঁশির মঞ্চে দাঁড়ায়ে নৃত্য করিয়া ছিঁড়িতে গলায় পরানো কাছি,
আমি পায়ের শিকল করিয়া বিকল উড়ে চলি উচ্ছ্বাসে।
আমি ছুটে চলি আপন গতিতে কাঁপন ধরাতে ঐ ন্যেটোর বুকেতে,
আমি আবার আসিবো মুক্ত করিতে ইরান, লেবানন আর ফিলিস্তিন গাঁজাবাসী।
আমি বরনে মরন ভয় নাহি করি,
আমি প্রতি যুগে আসি মুছিতে সকল আঁখিরও বারি।
আমি এই পৃথিবীতে বার বার আসিতে প্রতিজ্ঞায়,
যদি সকল প্রজা নিজ অধিকার ফিরে নাহি পায়।
আমি সেই দিন চিরতরে হবো প্রশমিত,
যেদিন সকল অত্যাচারীর সূর্য হবে অস্তমিত।