সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে জমি রেজিস্ট্রার ভলিউম বইয়ের পাঁচটি পাতা গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে পাঁচজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন সদর সাব-রেজিস্ট্রার মো. রিপন মুন্সি।
আটকরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন, তার ভাইপো ইয়াছিন আরাফাত (শাওন), রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ অনল কৃষ্ণ রায়, কাজী আবুল বাশার ও স্ট্যাম্প ভেণ্ডার এমএম শাহজাহান।
সাতক্ষীরা সদর সাব-রেজিস্টার মো. রিপন মুন্সি বলেন, স্ট্যাম্প ভেন্ডার এসএম শাহজাহানের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বলে আমাকে চারটা নকল তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি বালাম আছে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে হবে। এখানে শাহজাহান যা করেছে এ পর্যন্ত যা তথ্য পেয়েছি আমাদের এখানকার এক নকলনবীশ অনল কৃষ্ণ রায় নামে এক লোক রয়েছে। সে কাজী আবুল বাসারকে দিয়ে নফলগুলো লিখেছেন। লেখানোর পর অফিসের রেজিস্টারে এন্ট্রি না করে আমার আগের এক অফিসার ও আমার সই জাল করে দিয়ে দিয়েছে। এটা আমি বেশ খানিক আগে উদ্ধার করেছি।
সদর সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, আমার উদ্ধারের মূল টার্গেট ছিল ক্ষতিগ্রস্ত পাতাগুলো গেল কোথায়। এটা শেষ পর্যন্ত এসএম শাহজাহান স্বীকার করেছেন পাতাগুলো আমার কাছে রয়েছে আমি কাল বেলা ১২ মধ্যে বের করে দেব। আমাকে অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল আমাকে সময় দেন আমি কাল ১২ মধ্যে এগুলো আপনার কাছে এনে দেব।
তখন আমি বললাম আপনি যে আমার কাছে ১২টার মধ্যে এনে দেবেন আপনাকে যে কাল আমি পাব এর গ্যারান্টি কি? আপনি যদি এখনই আমার কাছে এনে দেন তাহলে আমি দেখব কি করতে পারি। কিন্তু আপনি আমাকে এ কথা বলে চলে যাবেন পরে দেবেন কি দেবেন না আপনার তো কোনো গ্যারান্টি নেই। আপনাকে যদি থাকতে হয় নিরাপদ হেফাজতে থাকতে হবে। সেভাবে থানা থেকে পুলিশ এসেছে আমি অফিসিয়াল চিঠি করেছি। মামলা করার জন্য আমার রেকর্ড কিপারকে পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, তারা রীতিমতো স্বীকার করেছে যে আমরা এ দুই নম্বরি করেছি। একটা ঝামেলা নিয়েই আমরা অস্থির হয়ে গিয়েছি। চেয়ারম্যান আমার অফিসে এসেছিল, এটার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা যখনই আমি শুনেছি, তখনই থানায় কল দিয়েছি পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফি বলেন, রেজিস্ট্রি অফিসের ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।