অবশেষে তিন বছর পর ভাঙা হলো কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ কর্মী সমাবেশে আলোচনা সভা শেষে কমিটি ভেঙে দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির সরকার।
জাকির সরকার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলকে সুসংঠিত এবং পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এ সভার মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হলো। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে খুব দ্রুতই ৩১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটাধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রথমে ওয়ার্ড কমিটি, তারপরে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হবে।’
এসময় বিভেদ ভুলে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী রুমী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী ও নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক, জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০২১ সালে ছয় মাস মেয়াদি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল জেলা কমিটি।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীরা। ১৬ বছর রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। তবে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজপথে দেখা মিলে এ দলের নেতাকর্মীদের। কিন্তু আসন্ন সংসদ নির্বাচন, আধিপত্য বিস্তার ও দলের পদ প্রাপ্তিকে কেন্দ্র করে তাদের কর্মকাণ্ড ছিল কয়েকটি খণ্ডে বিভক্ত।
আরও জানা গেছে, কুষ্টিয়া ৪ ( কুমারখালী-খোকসা) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে দুই বারের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী ও নুরুল ইসলাম আনসার প্রমাণিক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মহম্মদ। এতে কুমারখালীতে চতুর্মুখী বিএনপির নেতাকর্মীরা।