অপরাধ

শ্রীপুরে চা দোকানীর বসতভিটায় প্রভাবশালীর মার্কেট!

  প্রতিনিধি 24 January 2025 , 6:58:34 প্রিন্ট সংস্করণ

 

শামসুদ্দোহা

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি

 

 

গাজীপুরের শ্রীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চা দোকানীর বসতভিটা জোরপূর্বক জবরদখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। অসহায় চা দোকানী আদালতের দারস্থ হলেও জমি জবরদখল থামাতে পারেনি। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধা আংগল দেখিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

 

ভুক্তভোগী চা দোকানী আনোয়ার হোসেন (৫৫) উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ফাউগান গ্রামের কুমুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফাওগান বাজারে চা দোকান পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।অভিযুক্ত প্রভাবশালী একই ইউনিয়নের ডুমনী গ্রামের আব্বাস মোড়ল (৩৫) ও জালাল খান (৩৫)।

 

ভুক্তভোগী চা দোকানী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অসহায় মানুষ চা দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। সেই জমিতে আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসাবাস করে আসছি। হঠাৎ করে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক আমার জমিতে এসে মার্কেট নির্মাণ শুরু করছে। আমাদের যে ধরনের স্থাপনা মালামাল ছিলো সেগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে জমি জবরদখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে। আমি অসহায় মানুষ দুদফা বাধা দিয়ে মারধরের শিকার হয়েছি। এরপর থানা পুলিশের কাছে যায়। কোন প্রতিকার পায়নি। স্থানীয়দের পরামর্শে আদালতে দারস্থ হয়। আদালত সমস্ত কাগজপত্র দেখে নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক পুলিশ নোটিশ দেয় কাজ বন্ধ রাখতে। কিন্তু আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও শুক্রবার মার্কেট নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি অসহায় মানুষ শুধু চেয়ে দেখছি। গরিবের বিচার কোথাও নেই। তিনি আরও জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় ভূমি আমি অভিযোগ করলে ওঁরা ভূমি অফিসে এসে আমাকে হামলা করে। আমি প্রাণ বাচাতে ভূমি অফিসে আশ্রয় নেই। ওদের কোন ধরনের দাবিদাওয়া ছাড়া আমার জমিতে মার্কেট নির্মাণ করছে। আমি কিছুই করতে পারছি না।

 

অভিযুক্ত আব্বাস মোড়ল বলেন, জমিতে কি করে মার্কেট নির্মাণ করছি, এটা সাংবাদিকদের কেন বলতে হবে। থানা পুলিশ আর আদালতে বলবো।

 

 

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের থানায় ডাকা হয়েছিলো। কিন্তু তারা পুলিশের ডাকে আসেনি। এরপর আদালতে দেয়া নিষেধাজ্ঞা নোটিশ পুলিশের মাধ্যমে জারি করে মার্কেট নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তবুও কাজ চলছে এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। তিনি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষে সব ধরনের চেষ্টা করছে কাজ বন্ধ করতে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ