প্রতিনিধি 1 February 2025 , 4:13:52 প্রিন্ট সংস্করণ
হালুয়াঘাট প্রতিনিধি:
হালুয়াঘাটের বিভিন্ন বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা হলেও জবাইয়ের পূর্বে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা বা পশু চিকিৎসক দ্বারা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন ক্রেতাগণ।
যাচাই করে দেখা যায় যে, বেশির ভাগ পশু ভোর বেলায় জবাই করা হয় বলে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকা ডাক্তারকে পাওয়া যায় না। তাছাড়া কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ফলশ্রুতিতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই জবাই দিচ্ছেন কসাইয়েরা।
জবাইকরা পশুর শরীরে বড় ধরনের কোন রোগ রয়েছে কিনা এমন কোন ধারণা নেই ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে।
একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা, অন্যদিকে জনসচেনতার অভাবের মধ্যে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চলছে ক্রয় বিক্রয়। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও তাদের তাদের কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। এভাবেই প্রতারিত হয়ে চলেছেন ক্রেতারা।
এই বিষয়ে নাগলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আনারুল বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” আমরা পশু জবাইয়ের আগের দিন পশুকে দোকানের সামনে বেধে রাখি। পশু দেখেই বোঝা যায় যে, সেটা সুস্থ। আমরা সুস্থ পশু দেখেই জবাই করি। কিন্তু প্রতিটা পশুকে পশু ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না ও পশু ডাক্তারও আসে না। তবে তাদের সাথে যোগাযোগ আছে।
এদিকে এক পশু দেখিয়ে অন্য পশু জবাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানান কয়েকজন। যেহেতু গরু ভোর বেলা পশু জবাই করা হয়, যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকেন।
কসাইয়েরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রোগাক্রান্ত পশু কম দামে কিনেন এবং তা মাংস আকারে বিক্রি করে থাকেন। কোনো কোনো স্থান থেকে মৃত পশু জবাই করে তা বিক্রি করার সংবাদও আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পেয়ে থাকি। কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে, নাগলার নুর ইসলাম। এর জন্য প্রশাসনিকভাবে তাকে জরিমানা করা হলেও অনেক কসাইয়ের এমন ঘটনা অজানাই থেকে যায়।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি বাজারে পেশাদার মাংস ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ, ছাগল, জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। লোকচক্ষুর আড়ালে রাতের আধারে রোগআক্রান্ত পশু জবাই করে ক্রেতার সাথে প্রতারণা করছে। এমনকি গাভী জবাই করে দুধদোহন স্থানটি কেটে অন্যত্র ফেলে দিয়ে ষাড় গরু বলে বিক্রি করে, যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর পরিপন্থী।
বিশেষত রোগাক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে অজান্তেই অনেকেই এলার্জি ও ক্যান্সার জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় পশু জবাইয়ের পূর্বে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।