এস চাঙমা সত্যজিৎ
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
‘জাতীয় অবমাননা দিবস’ (১০ ফেব্রুয়ারী) উপলক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নান্যচর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেয়াল লিখন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুবফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
আজ তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সুবিধামত জায়গায় “জাতীয় গ্লানি মোচনে ছাত্র-যুবশক্তি জেগে ওঠো; আপোষ চুক্তিতে মুক্তি নেই, পূর্ণস্বায়ত্তশাসন ছাড়া গতি নেই, জাতি ধবংসের নীলনক্সা ভেস্তে দাও, লড়াই করো” ইত্যাদি শ্লোগান লেখেন।
উল্লেখ্য যে, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পরে ১০ ফেব্রুয়ারী ’৯৮ সালে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে শান্তিবাহিনীর সদস্যরা ১ম দফায় শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন কঠোর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে হাজার হাজার দর্শকের সামনে তিন প্রতিবাদী সংগঠন (পিসিপি-পিজিপি-এইচডব্লিউএফ)’র নেতা-কর্মীরা No Full Autonomy No Rest লেখা ব্যানার উঁচিয়ে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি তা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।
পরবর্তীতে তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্তু লারমার অস্ত্র সমর্পণের এই দিনটিকে (১০ ফেব্রুয়ারী) “জাতীয় অবমাননা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এস চাঙমা সত্যজিৎ
বিশেষ সংবাদদাতা দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ।