প্রতিনিধি 12 February 2025 , 3:27:30 প্রিন্ট সংস্করণ
হালুয়াঘাট প্রতিধিনি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে সেন্ট মেরিস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ১০ বছরেও চালু হয়নি।
২০১৫ সালে নতুন ভবন বরাদ্দ পায় অত্র স্কুল।
১০ অক্টোবর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট মেরিস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালিন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এম.পি। তবে ১০ বছরেও চালু হয়নি নতুন ভবনে পাঠদান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯২৯ ইং সালে স্থাপিত হয় সেন্ট মেরিস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
বর্তমানে ১৪ জন শিক্ষক এবং শিশু থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে নব নির্মিত বহুতল ভবন থাকার পরও পুরাতন আধাপাঁকা ভাঙ্গা কক্ষে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, নব নির্মিত ভবন ব্যবহার উপযোগী নয়। ভবনের ভিতরে দেওয়ালে ফাটল রয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ঝুকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।
অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোঃ আবুল কাশেম বলেন, ভবন নির্মানের কাজ নিম্নমানের হয়েছে। আমি যখন দেখতে পাই ঠিকাদারের লোকজন ভবনের ভিটে মাটি দিয়ে ভরাট করতেছে তখন আমি কাজে বাধা দেই। আমি কাজে বাধা দেওয়াই তৎকালীন মন্ত্রী স্যারের আত্নীয় পরিচয়ে ঠিকাদারের লোকজন আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়।
পরবর্তীতে আমি আবারও দেখতে পাই নিম্নমানের কম পরিমাণে রড দিয়ে ভিমের কাজ করতেছে তখন আবার বাধা প্রদান করি।
পরবর্তীতে দেখতে পাই ঠিকাদারের লোকজন রাতের বেলায় ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।
পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, বিল্ডিংয়ের উত্তর পাশে ওয়াশরুমের ভিতরে দেওয়ালের উপরের অংশে দুই জায়গায় ফাটল দেখা যায় এবং বাহিরের দিকেও ফাটল লক্ষ্য করা যায়। নতুন ভবনের পানির পাম্পও নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। ওয়াশরুমের পাইপ ফাটা। কাঠের দরজাগুলোও গুনে ধরে ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের পড়ার ব্রেঞ্চ ও টেবিল নষ্টের পথে।
অত্র বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী সুরভী আক্তার বলেন, নতুন ভবন ফাটল থাকার কারনে আমরা পুরাতন কক্ষে ক্লাস করি। ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী হুমাইরা আফরিন প্রিয়সী বলেন, নতুন ভবন অনেক সুন্দর সেখানে ক্লাস করতে পারলে অনেক ভালো লাগত তবে সেখানে বাউন্ডারি নেই, বিল্ডিং এ ফাটল, ওয়াশরুমের পাইপ ফাটাসহ আরও অনেক সমস্যা থাকার কারনে আমরা সেখানে ক্লাস করতে পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাকলী রাকসামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদার তাদের নিজের ইচ্ছামত কাজ করেছে। আমরা সেখানে কোনো তদারকী করি নাই। আমাদের ঠিকাদার কোন ওয়ার্ক ওয়ার্ডার বা ওয়ার্কসীট দেয় নাই আমরাও আবেদন করি নাই। তিনি আরও বলেন, নির্মাণ ব্যয় কত বা কি এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমাদেরকে ঠিকাদার ২০২২ সালে বিল্ডিং হস্তান্তর করে। সীমানা দেয়াল না থাকায়, বিল্ডিং এ ফাটল থাকায় সেখানে ক্লাস শুরু করতে পারি নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ভবন নির্মানে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকৌশলী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।
তবে আমার জানা মতে, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ না থাকায় পুরাতন স্কুলেই ক্লাস করানো হয়।
এই বিষয়ে জানতে শিক্ষা প্রকৌশলির সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলো উনাকে পাওয়া যায় নি