অন্যান্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধকে হত্যার পর ৯ টুকরো করলেন স্ত্রী ও মেয়ে

  প্রতিনিধি 2 October 2024 , 5:50:35 প্রিন্ট সংস্করণ

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন বাঞ্ছারামপুরস্থ ফরদাবাদ গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে অরুন মিয়া (৭০) নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ ৯টি টুকরো করা হয়।

নিহত অরুন মিয়ার নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার দুই দিনপর নিজ বাড়ির সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার কারনে আশেপাশের বাড়ীর মানুষের সন্দেহ হয়। পরে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় বিষয়টি অবগত করালে সাথে সাথে পুলিশ এসে

সেফটি ট্যাংকির  ভিতর থেকে ৯ খন্ডিত লাশকে উদ্ধার করেন।

এ অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫০) ও মেয়ে লাকি আক্তারের (২৭) বিরুদ্ধে। তাই তাদেরকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং বলেন আমি হত্যা করেছি সাথে কেউ ছিল না।

ঘটনাটি ১/১০/২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘটলে আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন।

এতে তিনি জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুন মিয়া। হত্যার চারদিন পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।

 

নিহত অরুন মিয়া ফরদাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ বেপারীর ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎমা মোমেনা বেগম ও সৎবোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

তিনি আরও জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগমের সঙ্গে অরুন মিয়ার বাগবিতাণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে অরুন মিয়া মৃত্যবরণ করেন । পরে মোমেনা ও মেয়ে লাকিকে নিয়ে লাশ নয় টুকরো করে পলিথিনে ভরে পার্শ্ববর্তী মনির মিয়ার সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী সেফটি ট্যাংকি থেকে গন্ধ বের হওয়ায় পলিথিন খুলে পুলিশকে খবর দেয়। যাতে অরুন মিয়ার লাশের খণ্ডিত অংশ মেলে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ