অন্যান্য

কুমিল্লার মাদক সম্রাট আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নানান অপকর্ম উদঘাটনে হিউম্যান এইড

  প্রতিনিধি 13 March 2025 , 10:07:46 প্রিন্ট সংস্করণ

শোয়েব হোসেন

 

কুমিল্লা জেলার আদালত থেকে গাড়ি কেনার ভুয়া চুক্তিনামা দেখিয়ে ছিনতাই করা একটি প্রাইভেট কার ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী ও ভুয়া সাংবাদিক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে।

 

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মাদক ও খুনের মামলা ঠেকাতে ভুয়া সাংবাদিক আলাউদ্দিন কখনো সাংবাদিক কখনো সাংবাদিকের ভাই কখনো প্রতাপশালীর লোক পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে বলে বিশেষ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ভুয়া সাংবাদিকতার কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে একাধিকবার চাঁদা নেয়ার অভিযোগও মিলেছে এই আলাদিনের বিরুদ্ধে।

 

উক্ত এলাকার সাবেক এমপি বাহারের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েও ব্যাপকভাবে বিগত দিনে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর বিভিন্ন মহল থেকে মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিক ও ভুক্তভোগীরা।

 

সচেতন মহলের ব্যক্তিরা জানিয়েছেন,আলাউদ্দিন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষমতাধর লোকদের পরিচয় দিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় ব্যাপকভাবে চাঁদা আদায়সহ অনেককেই হুঁমকি প্রদান করে আসছেন।কখনো সাংবাদিক, কখনো এমপি সাহেবের লোক ইত্যাদি পরিচয়ে।

 

অনুসন্ধানে আরো তথ্য এসেছে, আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে মাদক কারবারি,একাধিক মামলার আসামি এবং ভুয়া সাংবাদিক আলাউদ্দিন ও মোঃ পারভেজ চোরাই গাড়ি ও ছিনতাইকারীদের সহযোগিতা করে এখনো ব্যাপক পরিসরে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন কোতোয়ালি এলাকায়। ফয়সাল মিয়া নামের এক মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী এই ভুয়া সাংবাদিক আলাউদ্দিন ও মোঃ পারভেজের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে চাঁদাবাজি ও গাড়ি ছিনতাই করে নির্দ্বিধায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নথিভুক্ত মাদক মামলার আসামি হওয়া সত্বেও! জনমনে প্রশ্ন,এরাই কি তাহলে পুলিশের সকল অপকর্মের গুপ্ত সহচর!এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন!

 

সচেতন মহলের প্রশ্ন,সাবেক এমপি বাহারের ক্ষমতা অপব্যবহার করে ভুয়া সাংবাদিক ও একাধিক মাদক মামলার আসামি আলাউদ্দিন ও পারভেজ মিয়ার ছত্রছায়ায় ফয়সাল মিয়া কখনো ড্রাইভার কখনো মেকানিক হয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি ও ছিনতাইসহ অপকর্ম করে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও প্রশাসন কেন তাদের আইনের আওতায় নিচ্ছে না, কেনই বা তাদের গ্রেফতার করছেনা ?

 

এমন প্রশ্নের জবাব বের করতে আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার সংস্থা ” হিউম্যান এইড এন্ড ট্রাষ্ট ইন্টারন্যাশনাল” এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও এ বিষয়ে তারা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।তবে তথ্য মিলেছে, ইতিমধ্যে কুমিল্লা জেলা আদালতে মাদকসহ আটককৃত প্রাইভেটকার ক্রয়ের ভুয়া মালিকানা হস্তান্তরের দলিল দেখিয়ে জামিন করে গাড়িটি ছাড়িয়ে কিংবা হাতিয়ে নেয়ার জোর পাঁয়তারাও চালাচ্ছে এই আলাউদ্দিন গংরা।

 

জানা গেছে, উক্ত গাড়িটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ-২৯১২০২।ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে এই মাদক ব্যবসায়ীরা নিউজ ঠেকাতে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছেন।আরও জানা যায়,এদের নানান অপরাধ ঠেকাতে সোচ্চার হওয়ার দায়ে ঠিকানা বিহীন একটি অনলাইন পত্রিকায় উক্ত অপরাধ চক্রটি সাবেক জুলুমবাজ সরকার আওয়ামী লীগ আমলে নির্যাতিত “দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা”র সম্পাদকের নামেও একটি সংবাদ প্রচার করেছে যা ভিত্তিহীন বলেই সাধারণ জনতার মত প্রকাশ ।

 

অনুসন্ধান চলমান————-

আরও খবর

মহাসড়কে স্প্রীড ব্রেকার স্থাপনের দাবীতে জগন্নাথপুরে মানববন্ধন

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কুড়িগ্রামে মিডিয়া ক্যাম্পেইন

কুড়িগ্রামে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত

একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না ঝিনাইদহ প্রতিনিধি চার সদস্যের পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ঋষিপাড়ায় থাকেন ফজলুল রহমান। ভ্যান চালিয়ে দিনে আয় করেন ২৫০-৩০০ টাকা। এর অর্ধেক চলে যায় কিস্তি দিতে। বাকি টাকায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফজলুর হরিণাকুণ্ডুর একটি দোকানে ডিম কিনতে এসেছিলেন। দাম শুনেই তিনি হতবাক। প্রতি হালি ডিমের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৬ টাকা। ফজলুর লোকমুখে শুনেছেন, সরকার ডিমের দাম কমিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দাম এত বেশি কেন? জিজ্ঞেস করতেই দোকানি বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে অন্যখানে যান।’ পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না ফজলুরের। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। এর আগে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাঁচাবাজারে। শাকসবজিসহ সব পণ্যের অস্বাভাবিক দামে হতাশা ঘিরে ধরে তাঁকে। আয়ের সঙ্গে খরচের হিসাব মেলাতে পারছিলেন না। ফজলুর রহমান বলেন, ১৫ দিন আগেও প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা। এখন সেটার দাম কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা আবার কোথাও ১৪ টাকা। হালিতে এই ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৬-৮ টাকা। শাকসবজি, মাছ, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ সবকিছুর দামই বেড়েছে। এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ২৫০-৩০০ টাকা আয়ের মধ্যে ঋণ নিয়ে কেনা ভ্যানের কিস্তির জন্য দিতে হয় ১৫০ টাকা। বাকি ১০০-১৫০ টাকায় চাল, ডাল, তেল আর তরিতরকারি কেনা যায় না। একটা কিনলে অন্যটা কেনার টাকা থাকে না। কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সাগর হোসেন। তিনি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া এলাকায় থাকেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও মা-বাবা নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ছয় সদস্যের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁর। সাগর বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবকিছুর দাম বেড়েছে। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৫ অক্টোবর সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা প্রতি পিসের ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়। বুধবার থেকে এ দামে ডিম বিক্রির কথা থাকলেও বাজারের চিত্র ভিন্ন। একেক জায়গায় একেক রকম দাম নেওয়া হচ্ছ। উপজেলা শহরের কোথাও ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা, কোথাও ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের বাজারে ১৪ টাকা করে। লাগামহীন ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও। বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২৮০-৩২০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। লাউ পিস ৫০-৬০ টাকা, আলুর ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ৪০ টাকার কাঁচাকলা ৬০ টাকা। ৪০ টাকার শসা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এদিন ঢ্যাঁড়শের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৩০-১৫০ টাকায়। ৫০ টাকার নিচে বাজারে সবজি মিলছে না। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। কাঁচাবাজারের বিক্রেতা খাইরুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া অনেক এলাকায় বন্যা হচ্ছে। মানুষের সবজি ও কাঁচামালের ক্ষতি হয়েছে। এতে সরবরাহ কম। তাই সব কিছুর দাম বেড়েছে। দাম কমাতে হলে আগে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান পাইকারি বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, আড়ত থেকে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আশরাফুল ইসলামের। তাঁর দাবি, খামারির কাছ থেকেই প্রতি পিস ডিম কিনতে হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সায়। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে। খুচরায় বিক্রি করছেন ১৩ টাকা ৩৩ পয়সায়। আনার সময় অনেক ডিম ভেঙে যায়। ফলে লাভ থাকে না। শুধু ক্রেতা ধরে রাখতেই ডিম বিক্রি করছেন। উৎপাদক ও পাইকার পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডিম বা ব্রয়লার মুরগির দাম খুচরা বাজারে কমবে না বলে মনে করেন তিনি। মাছের বাজারেও একই অবস্থা। এদিন সকালে হরিণাকুণ্ডু শহরের দৈনিক বাজারে প্রতি কেজি রুই ও কাতলা প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দর ১৫০-২৫০ টাকা; চ্যাঙ ও দেশি পুঁটি বিক্রি হয় ৩২০-৫০০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, আড়তে তেমন মাছ আসছে না। অল্প পরিমাণে যা আসছে, অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আড়তদার কামাল উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আড়তে মাছ আসে। কিছু এলাকায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রচুর ঘের-পুকুর তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রচুর মাছ মারাও গেছে। ফলে সরবরাহ কমেছে, তাই দাম বেশি। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, এই এলাকায় খামারি নেই। ব্যবসায়ীরা পাবনা বা অন্য এলাকা থেকে বেশি দামে ডিম কিনেন। ফলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দর নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবুও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিমসহ সব নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি চলছে জানিয়ে ইউএনও আক্তার হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামে মুজিবের ৩টি ম্যুরাল গুড়িয়ে দিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

নাভারণের কুচেমোড়ায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে, আহত ১০

                   

জনপ্রিয় সংবাদ