অন্যান্য

সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ঈদ উপহার বিতরণ

  প্রতিনিধি 23 March 2025 , 7:51:03 প্রিন্ট সংস্করণ

রুমা আক্তার, সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি,

ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা এক হৃদয়ছোঁয়া উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা নিজস্ব অর্থায়নে পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নতুন পোশাক ও চকলেট বিতরণ করেছে, যা ঈদের আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলেছে।

এই মহৎ উদ্যোগের পেছনে ছিল শিক্ষার্থীদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও মানবিকতা। তারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ সংগ্রহ করে এবং সেই অর্থ দিয়ে অসহায় শিশুদের জন্য নতুন জামাকাপড় ও চকলেট কিনে। এরপর তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এসব উপহার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে তুলে দেয়। উপহার পেয়ে শিশুদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো।

এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। একজন শিক্ষার্থী লামিসা তাসনীম জুহা বলেন,”অনেক বাঁধা-বিপত্তি  পর আলহামদুল্লীলাহ বস্ত্র বিতনের কাজটি সম্পন্ন করতে পারলাম । তাঁদের মুখে আনন্দের হাঁসি দেখে যেনো আমরা সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রীম ভুলে গেলাম। আমরা চাই, প্রতি বছর এমন উদ্যোগ নিতে, যাতে আরও বেশি শিশু ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।”

 অন্য একজন শিক্ষার্থী উম্মে হানি অনিমা বলেন, ঈদ হলো আনন্দের উৎসব। এই আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই ঈদের প্রকৃত সার্থকতা। ঈদ উপহার বিতরণ মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির চেতনা জাগিয়ে তোলে।ঈদ উপলক্ষে উপহার বিতরণের মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া যায়।শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো ঈদ উপলক্ষে শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়, যা তাদের মনে আনন্দ ও উৎসাহ জাগায়।এই ছোট ছোট উপহারগুলো তাদের মুখে হাসি ফোটাতে সাহায্য করবে এবং ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেবে। এই ঈদ হোক সবার জন্য আনন্দময়। ইনশাল্লাহ এই কাজটা আমরা সামনের বছর আরও ভালো ভাবে করতে চাই।

এই উদ্যোগের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার আশা প্রকাশ করেছে। তারা মনে করে, ঈদের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসবেও এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত, যাতে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষরাও আনন্দের ভাগ নিতে পারে।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এটি কেবল তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে না, বরং অন্য শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এ ধরনের কার্যক্রম চলতে থাকলে সমাজের অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব হবে, আর ঈদের আনন্দ সত্যিকার অর্থেই সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ