দর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা আঞ্চলিক সড়কের পৌরশহরের বুরুঙ্গা (ভাঙাব্রিজ) এলাকার সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চলছে দীর্ঘদিন যাবত। উপায় না থাকায় সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে গাড়ি ঘোড়া সহ জনসাধারণ। তবে বর্তমানে অবস্থা এতটাই খারাপ যে ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুরুঙ্গা এলাকার সেতুটির স্থানটি মানুষের নিকট ভাঙাব্রিজ নামেও পরিচিত এখন, সেতুটির মাঝখানের ভাঙা অংশে বসানো স্টিলের পাটাতনের অনেক জায়গাই ভাঙ্গা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। কেউবা যানবাহন থেকে নেমে যানবাহন টি ঠেলে পার করতে হচ্ছে। সেতুর দুই পাশের রেলিং গুলোও প্রায়ই ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটির এমন বেহাল দশা থাকলেও শুধু নাম মাত্র মেরামত করছে কিন্তু নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
সূত্র বলছে, ২০২১ সালের মে মাসে ও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দুইবার এ সেতুটিতে গর্ত হয়েছিল। পরে আবার ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মাঝের অংশে গর্ত হয়ে বড় ভাঙন দেখা দেয়। তখন কতৃপক্ষ ওই গর্তের স্থানে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে মেরামত করে তবে এভাবে বছর গেলেও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুটি।
এদিকে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে কয়েকশত শিক্ষার্থী। কিন্তু সেতুটির ওপর দিয়ে বাস,ট্রাক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা,নছিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন এই অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে রাতে চলাচলে সময়ে ঝুঁকি বেশি।
বুরুঙ্গা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে এই সেতু পার হতে হয়। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ইজিবাইক চালক রিদয় মিয়া বলেন, আমাদের গাড়ি নিয়ে এইদিকে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। গাড়ি ঠেলে তুলতে যাত্রী নামাতেও হয়। এখানে সবসময়ই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। সামনে ঈদ এই ব্রিজটির উপড় ভিষণ রকম চাপ পরবে, এতেকরে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমি অবগত ছিলাম না, অত্র উপজেলায় নতুন এসেছি, তবে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আনিসুল হক সুমন
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি,২৩/০৩/২০২৫ইং