তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে রাজী না হওয়ায় বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে অন্যায় ভাবে আমাকে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল। নেত্রকোনাসহ দেশবাসীর দোয়া ও সমর্থন পাওয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সবকটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমি আমার জীবন বাজি রাখতে রাজি আছি, যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ২৩ ফেব্রæয়ারী মদন উপজেলাস্থ বাসভবনে অবস্থান করে টানা ৩দিন মদন-মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। সভায় তিনি অর্ন্তবতীকালীন সরকারের কাছে দ্রæত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষনার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
এ আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী একটি বেসরকারী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আল হেলাল তালুকদার স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত্। তিনি ১৯৯৭ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি, ১৯৯৯ সালে মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাধারন সম্পাদক, ২০০৫ সালে আনন্দ মোহন বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্র শিবিরের সাধারন সম্পাদক এবং ২০০৬ সালে সভাপতি, ২০০৮ সালে জামায়াত ইসলামীতে যোগদান করেন। বর্তমানে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি নেত্রকোনা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ময়মনসিংহের সাবেক সভাপতি, নেত্রকোনা সমিতি ময়মনসিংহের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহনগঞ্জ সমিতি ময়মনসিংহের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, চেয়ারম্যান মোহনগঞ্জ উন্নয়ন ফোরাম, নেত্রকোনা হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক। বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে সংগ্রামী ভুমিকা রাখায় অধ্যাপক মো. আল হেলাল তালুকদারের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা মডেল থানা ও মোহনগঞ্জ থানায় ৭টি মামলা হয়েছে।
তিনি ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায় পৃথক মামলায় দুইবার কারাবরণ করেন। গত নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় টিম সংসদীয় আসনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য জামায়াতের পুরুষ ও মহিলা রুকন, জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের ইউনিয়ন সভাপতি ও সেক্রেটারী, ছাত্র শিবির ও ইসলামী ছাত্রী সংস্থার প্রতিনিধিদের গোপন ব্যালট ভোট সংগ্রহ করে। পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে গোপনে সংসদীয় আসন এলাকায় সাংগঠনিক ভাবে সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্তদের জনমত জরিপ করা হয়।
তৃণমূলের ভোট জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে ২৯ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টরি বোর্ডের মিটিংয়ে নেত্রকোনা-৪ আসনে অধ্যাপক মো. আল হেলাল তালুকদারসহ ৩’শ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম চুড়ান্ত করা হয়েছে।