প্রতিনিধি 28 April 2025 , 9:28:25 প্রিন্ট সংস্করণ
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে তালের রস পান করে অন্তত ২৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১৩ জনকে কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সকলের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে।
আক্রান্তরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে পান করেন। পরে শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর দেখা দেয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে নয় জনের। তাঁরা হলেন–
মনোহরপুর গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে ও এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার (১৬),
বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮) ও ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮),
ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪),
মারুফ হোসেনের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬),
মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪),
সুভাষ দাসের ছেলে পরশ দাস (১২) ও আকাশ দাস (১৪),
এবং লক্ষণ দাসের মেয়ে বর্ষা দাস (১২)।
এর মধ্যে প্রথম ছয়জনকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তী তিনজনকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার ও মাহফুজ হোসেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরুন নাহার জানান, তাঁর ছেলে বাজার থেকে তালের রস কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রস পান করার পরপরই বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।
মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু বলেন, মনোহরপুর বাজারের তালের রস পান করে প্রায় ২৬ জনের পেটের অসুখ দেখা দেয়। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন সুস্থতার পথে রয়েছেন।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহফুজুর রহমান সবুজ জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মনিরামপুরের সাতজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে তিনজন এখনও ভর্তি আছেন এবং চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ভর্তি হওয়া রোগীরা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তাঁদের মধ্যে দুইজন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।