অন্যান্য

“বাবা না বর?”—যশোরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে পালাল সৎ পিতা, উঠে এল স্ত্রীর আসনে!

  প্রতিনিধি 2 May 2025 , 11:22:38 প্রিন্ট সংস্করণ

মাহতিম আহমেদ রাজা 

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নে এক চাঞ্চল্যকর ও নৈতিকভাবে বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সৎ পিতার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। শুধু পালানোই নয়, দাবি করা হচ্ছে—তিনি এখন তার সৎ পিতার বৈধ স্ত্রী! এই ঘটনা সমাজে নৈতিকতা ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মরিয়ম (ছদ্মনাম) নামের ওই কিশোরী শ্যামকুড় এলাকার একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার প্রকৃত পিতা আব্দুল্লাহ (ছদ্মনাম) ও মাতা জেসমিন (ছদ্মনাম)। চার বছর আগে জেসমিনের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে হয় শহিদ (ছদ্মনাম) নামক এক ব্যক্তির। তাদের সংসারে আরও দুই সন্তান রয়েছে।

 

দুই সপ্তাহ আগে মরিয়ম ও তার সৎ পিতা শহিদ একসাথে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে জেসমিন মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

 

মনিরামপুর থানা পুলিশ অনেক চেষ্টার পর কিশোরী মরিয়মকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে শহিদ এখনও পলাতক রয়েছেন।

 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মরিয়ম জানায়, তার সৎ পিতা শহিদ দু’সপ্তাহ আগে তার মা জেসমিনকে তালাক দিয়ে তাকে (মরিয়মকে) বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করছে বলে সে দাবি করে।

 

এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক, পারিবারিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি গুরুতর নৈতিক সংকট হিসেবে দেখা হচ্ছে। শিশু অধিকার ও সুরক্ষার প্রশ্নেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

 

স্থানীয়রা বলছেন, “এ ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়, সমাজব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ।” তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

 

মনিরামপুর থানার একজন কর্মকর্তা জানান, “মরিয়মকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। শহিদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা দেশের শিশুদের নিরাপত্তা ও নৈতিক মূল্যবোধের ওপর গুরুতর আঘাত হানে। এ ঘটনার পর, পরিবারের ভেতরে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ উঠেছে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ