প্রতিনিধি 28 May 2025 , 5:14:20 প্রিন্ট সংস্করণ
তোফাজ্জল ইসলাম – সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
জামালগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ জামালগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় কলেজের অনার্স বিভাগের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত রঞ্জন দে এবং সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীমা আক্তার শিমু।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বিন বারী।
কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আব্দুল করিম।
বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন এবং ইতিহাস বিভাগের আসমাউল ইসলাম সাকির।
বিদায়ী শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হোসেন বলেন,
এই কলেজ শুধু আমাদের উচ্চশিক্ষার পথপ্রদর্শক নয়, বরং জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছে। আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
আসমাউল ইসলাম সাকির বলেন,
চারটি বছর কেটে গেল যেন এক চোখের পলকে। আমাদের শৈল্পিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক বিকাশে এই কলেজের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে আরও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবু উবায়দা নাদিম, ইতিহাস বিভাগের প্রধান পঙ্কজ বর্মন, শিক্ষক মীর মোশাররফ হোসেন, আব্দুল করিম, কামরুল ইসলাম তালুকদার সবুজ, ও মনব্রত স্যার প্রমুখ।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা জানান এবং তাঁদের মানবিকতা, দায়িত্ববোধ ও নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে সমাজে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ সুজিত রঞ্জন দে তাঁর বক্তব্যে বলেন,
জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হলো নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তোমরা যে শিক্ষা পেয়েছো, সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে আলোকিত মানুষ হও—এই প্রত্যাশা করি। তোমাদের মনে রাখতে হবে, ডিগ্রি নয়, দায়িত্ববোধই একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষের পরিচয়।
প্রধান অতিথি রফিকুল ইসলাম বিন বারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
তোমাদের সামনে এখন এক নতুন দিগন্ত। আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় এবং সততার সঙ্গে এগিয়ে গেলে কোনো বাধাই তোমাদের রুখতে পারবে না।
অনুষ্ঠানের শেষ অংশে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কিছু শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।