প্রতিনিধি 30 May 2025 , 9:52:43 প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ ইকরামুল হাসান
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হরিন্দি গ্রামে এক পরিবারের সকল সদস্যকে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে অচেতন করে সর্বস্ব লুটের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী থানার গোল ঘরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওসি (তদন্ত) আবু বকর, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোরঞ্জন সরকার, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ জানান, শ্রীপুর থানাধীন হরিন্দি গ্রামের রায় কিশোর কুমার (মধু ঠাকুরের) ও রায় হিমাংশু শেখরের বসত বাড়িতে গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ১০ ঘটিকা হতে ২৮ মে বুধবার সকাল ৯ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা কে বা কারা চেতনাশক ঔষধ প্রয়োগ করে রায় কিশোর কুমার মধু ও তার স্ত্রী রায় নিপু চন্দনাসহ তার বসত ঘরের ভিতরে খাওয়া-দাওয়া শেষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর তারা জ্ঞান হারিয়েই স্ত্রী রায় নিপু চন্দনা খাটের উপর এবং কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুর মেঝেতে পড়ে যায়। ২৮ মে বুধবার সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় মাঝিপাড়া হতে জনৈক সুজিতের মা পূজার জন্য কিশোর কুমার রায় মধু ঠাকুর বাড়িতে ডাকতে আসে। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে তাদের বাড়ির কোন লোকজনের সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি জানায়। উক্ত এলাকার স্থানীয় লোকজন উক্ত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ৩ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ মে বুধবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময় হাসপাতালে তাহাদের সকলের জ্ঞান ফিরে।তখন মধু ঠাকুরের স্ত্রী তার ব্যবহৃত কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও হাতের দুটি বালা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় যে, উক্ত বাড়ির প্রধান ফটকে তালা লাগানো।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্তকালে জানা যায় যে, রায় হিমাংশু শিখর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক রনজিত ডাক্তার উক্ত বাড়িতে ২৭ মে মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় উপস্থিত হয়ে তার পেশার মেপে ১৮০/১৫০ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে যায়।
উক্ত ঘটনায় কোন ধর্ষণ বা ডাকাতি সংগঠনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের অপর সদস্য সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যও দিয়েছেন। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি এটিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে মর্মে তদন্তে জানা যায়। সকল বিষয় পর্যালোচনা করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।