প্রতিনিধি 30 May 2025 , 7:31:14 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ
ঢাকা, ৩০ মে ২০২৫:
এক অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।ছিলেন নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর পরিবার, ভালোবাসা আর নতুন আগমনের আনন্দে ব্যস্ত। কিন্তু এক অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্তে চুলার আগুন সবকিছু ছারখার করে দিয়ে গেলো।দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. ইয়াসিন আলম-এর স্ত্রী, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের বাসিন্দা, গত ২২ মে নিজ বাড়িতে রান্নার সময় দুর্ঘটনাবশত চুলার আগুনে দগ্ধ হন। শরীরের বেশিরভাগ অংশে আগুনের তীব্র দহন নিয়ে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন তিনি।
পাশ থেকে প্রিয় মানুষ ইয়াসিন আলম নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলেছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
আজ, ৩০ মে শুক্রবার সকাল ৮টা, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তিনি মৃত্যুর কাছে পরাজিত হন।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় তিনি ছিলেন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।এক অনাগত সন্তানের প্রাণ নিয়েও চলে গেলেন পরপারে। এক মা এবং এক অনাগত শিশু একসঙ্গে শহীদ হলেন আমাদের চোখের সামনে।
”আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে…” — কে.এম. মোজাপ্ফার হুসাইন
দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কে.এম. মোজাপ্ফার হুসাইন গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন
> “আমি বাকরুদ্ধ। একজন মায়ের এমন মৃত্যু, একজন সহকর্মীর এই ক্ষতি—এটা শুধু ব্যক্তিগত নয়, আমাদের পত্রিকা পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা তাকে কখনো দেখিনি, কিন্তু তাকে ভালোবেসেছি আমাদের ভাই ইয়াসিনের চোখ দিয়ে। সেই ভালোবাসা আজ রক্তে রূপ নিয়েছে। আল্লাহর কাছে আকুল প্রার্থনা— তিনি যেন এই মা ও অনাগত সন্তানের শাহাদাত কবুল করেন, জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
“এই শোক আমাদের নিজের” চেতনায় বাংলাদেশ পরিবার
এক শোক বিবৃতিতে দৈনিক চেতনায় বাংলাদেশ পরিবার জানায়
”আমরা শোকে মুহ্যমান। ইয়াসিন আমাদের সহকর্মী নয় শুধু, তিনি আমাদের ভাই। তার স্ত্রীর চলে যাওয়া, সেই সাথে অনাগত সন্তানের প্রস্থান এ যেন পৃথিবী থেকে দুটি দীপ্ত আলো একসঙ্গে নিভে যাওয়া। আল্লাহ যেন এই শোক সইবার শক্তি ইয়াসিন ও তার পরিবারকে দান করেন।”
পরিবারের সম্মান ও গোপনীয়তা রক্ষায় প্রয়াতার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
📍 জানাজা ও দাফনের সময় পারিবারিকভাবে জানানো হবে।