সারাদেশ

বিএনপির তিন মানদণ্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় শীর্ষে এ্যাড. শহীদ মো. ইকবাল হোসেন

  প্রতিনিধি 17 June 2025 , 2:48:38 প্রিন্ট সংস্করণ

এস এম তাজাম্মুল 

জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এখন থেকেই প্রার্থী বাছাই ও সাংগঠনিক প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে সন্তোষজনক অবস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই চলছে সাংগঠনিক তৎপরতা।দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় এবার তিনটি যোগ্যতাকে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছে বিএনপি।

এই তিন মানদণ্ড হলোঃ

➤ ত্যাগ ও সংগ্রাম – গণতন্ত্র রক্ষায় দলের প্রতি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন এমন প্রার্থী।

➤ সততা ও সুনাম – দুর্নীতিমুক্ত, ব্যক্তিগত সুনামসম্পন্ন এবং সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি।

➤ জনপ্রিয়তা – নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মাঝে যার রয়েছে প্রমাণিত জনপ্রিয়তা।

এই তিনটি মানদণ্ডকে সামনে রেখে যশোর জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেছে বিএনপির একটি বিশ্বস্ত কেন্দ্রীয় সূত্র।তালিকায় যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সর্বাগ্রে রয়েছে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনীতিক এ্যাড. শহীদ মো. ইকবাল হোসেনের নাম।

রাজনৈতিক মহলে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ খ্যাত এ্যাড. শহীদ ইকবাল এর আগেও ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে রাতের ভোটের অভিযোগ এনে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনতার স্বীকৃত নেতা হিসেবে তিনি মণিরামপুরবাসীর মনে গেঁথে আছেন।

বর্তমানে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় শহীদ ইকবাল হোসেনের নাম ছড়িয়ে পড়তেই মণিরামপুরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা। ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে “জনতার এমপি জননেতা এ্যাড. শহীদ মো. ইকবাল হোসেন” শিরোনামে পোস্ট, শেয়ার ও কমেন্টের বন্যা বইছে। তার জনপ্রিয়তাকে ঘিরে সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে ইতিবাচক আলোচনা।

ত্যাগ, সততা ও জনপ্রিয়তার সমন্বয়ে গঠিত একজন প্রার্থীদ লীয় দুর্দিনে মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ, মণিরামপুরের মানুষদের কাছে একজন সৎ, নির্ভরযোগ্য ও সহজলভ্য মানুষ হিসেবে পরিচিতি এবং ভোটারদের মধ্যে অতুলনীয় জনপ্রিয়তা সব মিলিয়ে তিনটি মানদণ্ডেই তিনি এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

একান্ত সাক্ষাৎকারে এ্যাড. শহীদ ইকবাল বলেন: দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি মনিরামপুরের সাড়ে চার লক্ষ মানুষের উন্নয়নের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আর যদি দলের সিদ্ধান্ত অন্য হয়, তাহলে দলের যেকোনো মনোনীত প্রার্থীর হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।তিনি আরও জানান, মণিরামপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দুঃখ ‘ভবদহ সমস্যা’র স্থায়ী সমাধানই হবে তার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ডা।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের লক্ষ্যে বর্তমান আন্দোলন সবখানেই তার সক্রিয় ভূমিকা প্রশংসিত। দলীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত রাখতে তিনি বরাবরই ছিলেন সাহসী ও কর্মীবান্ধব এক নেতার প্রতিচ্ছবি।

তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ এ্যাড. শহীদ মো. ইকবাল হোসেন বর্তমানে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের জন্য বিএনপির সবচেয়ে উপযুক্ত ও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়নের।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ