প্রতিনিধি 17 June 2025 , 3:45:27 প্রিন্ট সংস্করণ
ফয়সাল হায়দার স্টাফ রিপোর্টার।
মাগুরার মহম্মদপুরে মাত্র এক হাজার টাকা পাওনা টাকা দিতে দিতে না পারায় প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বারের বাড়িসহ ৩৫ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাট করা ও দুইটি ট্রাকটার ভাংচুর করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নহাটা ইউনিয়নের বেজড়া গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্যার ছেলে করিম মোল্যা একই গ্রামের ইউনুস মোল্যার ছেলে মশিউরের কাছে এক হাজার টাকা পেতো সোমবার বিকালে নহাটা বাজারে করিমের সাথে মশিউরের দেখা হলে পাওনা এক হাজার টাকা চাই। টাকা দিতে অস্বীকার করলে করিমের সাথে মশিউরের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি শুনামিলা করে দুজনের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। এ বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার সন্ধ্যার দিকে করিম মোল্যার সমর্থকরা আরবের চায়ের দোকানে মশিউরের আপন ভাই শফিকে পেলে ব্যাপক আকারে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায় । পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনার জের ধরে পরে দিন মঙ্গলবার সকালে আবারও করিম মোল্যার পক্ষ নিয়ে যুবদল নেতা পাভেল, ইমদাদ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার ও দেলজারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতা ফারুক মেম্বার ও মশিউরের সমর্থকদের উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে নারীসহ সাতজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায়
এদের মধ্যে রাজিয়া (৭৫), জুই (১৬), মেরি (৪০) কে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি তবে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।