প্রতিনিধি 20 June 2025 , 3:33:44 প্রিন্ট সংস্করণ
সামান্য স্বার্থের জন্য ব্যক্তি কেন্দ্রিক গুণকীর্তন করা সাংবাদিকতা নয়। সাংবাদিকতার পরিচয়ে রাজনৈতিক কর্মীর মতো আচরণ এই মহান পেশাকে বিব্রত করে। অপ-সাংবাদিকতায় প্রকৃত সাংবাদিকতার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে । আবার অনেক সংবাদ কর্মী’র শিরোনামহীন আধাআধি ও অস্পষ্ট ফেসবুক পোস্ট ও লাইভ ভিডিও বিরক্তিকর । ক্যাপসন হতে হবে স্পষ্ট, বস্তুনিষ্ঠ ও বোধগম্য । মনে রাখতে হবে সব ঘটনাই সংবাদ নয় । বর্তমানে খুব তুচ্ছ বিষয়কেও কিছু সংবাদ কর্মী সংবাদ হিসেবে জাহির করতে চায় ।
প্রতিবছরই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়। গণমাধ্যমকে দমন পীড়নে অনেক কালো আইনও হয়। প্রতিনিয়ত সংবাদ কর্মীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে । আক্রান্ত হচ্ছে । তাইতো সংবাদ কর্মীদের চিন্তায় অনেক প্রশ্নই উঁকি দেয় ! যে প্রশ্ন গুলো করা হয়না কিংবা করাও যায়না ! আসলেই কি মনে জাগ্রত সকল প্রশ্ন মুক্ত স্বাধীন ভাবে করা যায় ? সঠিক উত্তর পাওয়া যায় ? নিরাপদ ভাবে অনুসন্ধান করা যায় ? গণমাধ্যম কি পরিপূর্ণ ভাবে মুক্ত স্বাধীন ?
প্রায়শই আমরা পাখির ছবি তুলি, সাগরের ছবি তুলি । এরা মুক্ত স্বাধীন, এরা বাঁধা দেয়না ! কিন্তু অনিয়ম, দুর্নীতি’র কথা লেখায় কিংবা ছবি তোলায় এতো বাঁধা, বিধিনিষেধ কেন ? সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ কি পাখি, সাগর ও প্রকৃতির মতো পরিশুদ্ধ হতে পারেনা ? বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় গণমাধ্যম বাঁধাহীন, মুক্ত-স্বাধীন হওয়া প্রয়োজন । পৃথিবীর কিছু আকর্ষণীয় পেশার মধ্যে সাংবাদিকতা অন্যতম। তাই পেশাদারিত্ব ঠিক রেখে এর অগ্রগতি ঘটাতে হবে ।
সাংবাদিকদের বিভক্তিতে দেশের মানুষ অনেক বিরক্ত । তাই সঠিক চিন্তা নিয়ে মূলধারার সকল সাংবাদিকদের ঐক্য হওয়া দরকার এবং দেশের এই ভিন্ন প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা যথাযথ টেকসই ভাবেই হওয়া প্রয়োজন ।
আমাদেরকে ঘুনেধরা সমাজে এখনও দেখছি নামে পেশা কাজে প্রতারণা । আধুনিক সভ্য সমাজে যা কাম্য নয়। অসংখ্য গণমাধ্যমের মধ্যে যারা সত্যিকারের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করবে তারাই প্রকৃত পক্ষে এর মানদণ্ড নিয়ে টিকে থাকবে ।
এবং সত্যিকারের দেশপ্রেম ও জাতীর স্বার্থে সাহসী ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসা কলম সৈনিকেরাই চিরস্মরণীয় হয়ে গণমানুষের চেতনায় জাগ্রত থাকবে
সাংবাদিকতা কখনো নিরব হতে পারে না। সত্য প্রকাশে দৃশ্যমান হয়ে এটি তার নিজস্ব গতিতে চলমান থাকে । সকল বাঁধা পেড়িয়ে চলমান এ ধারা সাহসী, ভদ্র,সুশিক্ষিত মেধাবী সংবাদকর্মীরাই যুগ যুগ ধরে যথাযথ আচরণে ও বস্তুনিষ্ঠ লেখনীতে টিকিয়ে রেখেছে । একজন প্রকৃত সাংবাদিক সারাজীবনের ছাত্র । শেখার কোন শেষ নেই । পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে শিখবে, শেখানোর মধ্যেই শিখবে। শেখা ও জানা থেকেই অনুসন্ধান শেষে সত্যটাকে লিখবে। কিন্তু আমরা সাম্প্রতিক সময়ে কি দেখছি ! সাংবাদিকেরা একসাথে রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী, সহ অনেক কিছু । যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ হবে তাহারাই সাংবাদিকতার বিভিন্ন পদ-পদবীর পরিচয় দিচ্ছে । বহুকাল যাবৎ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া অনেকেরই জীবদ্দশায় কোন সংবাদ লেখা এবং এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে তা পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ তারা এ পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করে যাচ্ছে । এটা প্রতারণার শামিল । বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, বহুকাল যাবৎ এই মিথ্যা পরিচয় বহনের জন্য কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ।